ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার
বড় শক্তি হচ্ছে মেধা ও সৃজনশীলতা। আগামীতে উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা ছাড়া এগিয়ে যাওয়া
যাবে না। কেননা মেধাসম্পন্ন সৃজনশীল মানবস্পদই পারবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব
দিতে। বাংলাদেশের তরুণসমাজ অত্যন্ত মেধাবী। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে তরুণ
সমাজকে উপযোগী শক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী গতকাল রাতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ক্লাব এবং ইন্টারনেট
সোসাইটি, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের যৌথ উদ্দ্যেগে আয়োজিত ‘ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে ৪র্থ
শিল্প বিপ্লবের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমরা সারাদেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক
ব্যাকবোন তৈরি করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক
উল্লেখ করে কম্পিউটার বিপ্লবের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বার বলেন, জ্ঞানভিত্তিক
ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের মেধাবী তরুণ সমাজকে উপযোগী করে গড়ে তুলতেই
হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা মানে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা
প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ী অঙ্গিকার । তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল
বাংলাদেশ কর্মসূচি পৃথিবীর কাছে এগিয়ে যাওয়ার এক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মসূচি। এরই
ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে অতীতের সকল পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ বিশ্বে
উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি বলেন, আমরা কেবল যন্ত্রনির্ভর সভ্যতায় মানবজাতির অগ্রগতি হবে তাতে
বিশ্বাসী নই। আমাদের একটি মানবিক সভ্যতা গড়তে হবে। প্রযুক্তি মানুষের জন্য; কখনই
মানুষের বিকল্প নয়।
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ভূমিকা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রোগ্রামিং ‘হিরো’
এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ঝংকার মাহবুব। ওয়েবিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার
শামীম হায়দার পাটোয়ারী। অনুষ্ঠানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.
মোহাম্মদ সাদেকুল আরেফিন, পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাসিম আক্তার, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল
ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. গনেশ চন্দ্র সাহা এবং বাংলাদেশ
ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. হাফিয মুহাম্মদ হাসান
বাবু।