টঙ্গী (গাজীপুর), ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, শিল্প কারখানাসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি
বিপণন ব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। কলকারখানাসমূহের সম্পদের
যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে, প্রতিষ্ঠান লোকসান কমিয়ে লাভজনক করতে পরিকল্পনা
প্রণয়ন করতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে বিশ্বের স্বনামধন্য
প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সামগ্রিক উৎপাদন ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করতে হবে। প্রকল্প
পরিচালকরা স্ব স্ব প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করে কাজের সুপারভিশন ও মনিটরিং বাড়াতে
হবে। প্রকল্প এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে মনিটরিং বাড়াতে হবে। তিনি
কারখানাসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উন্নয়নে যুগোপযোগী প্রকল্প গ্রহণ করতে নির্দেশনা
প্রদান করেন। তিনি পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য, গুণগত এবং মানসম্মত করার পরামর্শ
দেন।
শিল্পসচিব আজ গাজীপুর জেলায় অবস্থিত এটলাস বাংলাদেশ লি., বাংলাদেশ ব্লেড
ফ্যাক্টরি লি., ঢাকা স্টিল ওয়ার্কস লি., ন্যাশনাল টিউবস লি. এবং বিএসইসি রাসায়নিক
গুদাম নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি তিনটি কারখানায় (এটলাস
বাংলাদেশ লি., ন্যাশনাল টিউবস লি.ও ঢাকা স্টিল ওয়ার্কস লিমিটেড) বৃক্ষ রোপণ করেন।
গাজীপুর জেলায় অবস্থিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ইস্পাত ও প্রকৌশল
কর্পোরেশনের (বিএসইসি) কারখানাসমূহ পরিদর্শন ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাথে
মতবিনিময়কালে শিল্পসচিব আজ এ সকল নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় বিএসইসি এর
চেয়ারম্যান মোঃ রইছ উদ্দিন, বিএসইসি'র পরিচালক (অর্থ) মোঃ মনিরুল ইসলাম, শিল্প
মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মোঃ আল আমিন সরকার, উপসচিব মোঃ মোকলেছুর রহমান
আকন্দসহ বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিবন্ধ অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প বিএসইসি রাসায়নিক
গুদাম প্রকল্প পরিদর্শন করে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সচিব বলেন, যে
সকল রাসায়নিক গুদাম ইতোমধ্যে নির্মাণ শেষ হয়েছে, সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে
ব্যবহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বেশি সংখ্যাক জনবল নিয়োগ করে প্রকল্পের
বাদ বাকি কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।