ঢাকা, ৩১ বৈশাখ (১৪ মে) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, সুষ্ঠু শারীরিক,
বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশের জন্য শিশুদের জীবনের প্রথম আট বছর অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশু শিক্ষা ও বিকাশের ভিত্তি রচিত হয়। শিশুর সঠিক প্রারম্ভিক বিকাশ
মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে
বাংলাদেশ আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নেটয়ার্ক (বেন) আয়োজিত জাতীয় ইসিডি সম্মেলনের
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সরকার শিশুদের খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা, সুরক্ষা ও শিক্ষা নিশ্চিত করছে। গর্ভাবস্থা থেকেই মা
ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালু
করেছে। সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে পাচ লাখ ষাট হাজার শিশুর প্রারম্ভিক
বিকাশ, সুরক্ষা ও সাতার সুবিধা প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ১৯৭৪ সালে শিশু আইন
প্রণয়ন করেন। দেশ স্বাধীনের পর পরই শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক
শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুরোধ এবং প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর
উদ্যোগ ও কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরো বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মা’র জন্য
মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ২ লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী মা’র জন্য ল্যাক্টেটিং মা ভাতা কর্মসূচি
পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের পনেরটি মন্ত্রণালয় শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বাস্তবায়ন করছে।
প্রতিমন্ত্রী শিশুর উন্নয়নে সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসিডি নেটয়ার্কের সভাপতি ড. মঞ্জুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া,
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও ইউনিসেফ
বাংলাদেশের কান্ট্রিরিপ্রেজেনটেটিভ শেলডন