ঢাকা, ১৯ পৌষ (৩ জানুয়ারি) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, শিশুশ্রম নিরসনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।
আজ রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের ১১তম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসডিজির লক্ষ্য অর্জন এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সকল খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করা অপরিহার্য। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ১৪ বছরের নিচের আর কোনো শিশু যাতে নতুন করে শিশুশ্রমে নিযুক্ত না হয় সেজন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত অর্থ বছরে বিভিন্ন শিল্প কারখানা হতে ৩ হাজার ৭শ’ পাঁচজন শিশুকে শ্রম থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ লেবার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় রাজধানীর সন্নিকটে শ্রমঘন এলাকা কেরানীগঞ্জকে দ্রুত শিশুশ্রম মুক্ত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনে ৮টি বিভাগে বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের ৬১টি সভা, জেলা পর্যায়ে ৪০জেলায় শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটির ১৫৭টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়। এছাড়া এ পর্যন্ত ১০৩ উপজেলায় উপজেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি গঠিত হয়েছে বলে জানানো হয়।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী, অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ ও জেবুন্নেছা করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের পরিচালক মোঃ মনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিকলীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সালমা আলী, বাংলাদেশ লেবার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব জেড এম কামরুল আনাম, শ্রম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, আইএলও, ইউনিসেফ, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।