ঢাকা, ১৩ আষাঢ় , ২৭ জুন /২০২১/২১২০ঘণ্টা

সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় সংস্কৃতি বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক
কর্মসম্পাদন চুক্তি (APA) আজ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাক্ষরিত
হয়।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির পটভূমি বর্ণনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ
সরকার ‘রূপকল্প ২০৪১’ -এর যথাযথ বাস্তবায়নে দৃঢপ্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সংহতকরণে
সচেষ্ট। এ জন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা একান্ত
অপরিহার্য বলে সরকার মনে করে। এ প্রেক্ষাপটে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের
যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য কর্মসম্পাদন
ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।
প্রধান অতিথি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভিশন, মিশন, কৌশলগত
উদ্দেশ্যসমূহ এবং কার্যাবলির আলোকে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৭ টি দপ্তর ও সংস্থা
তাদের নিজস্ব ভিশন, মিশন, কৌশলগত উদ্দেশ্য, কার্যাবলি, বাজেট বরাদ্দ ইত্যাদি
বিবেচনা করে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন করেছে। প্রতিমন্ত্রী চুক্তিতে
উল্লিখিত কার্যক্রমের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দপ্তর ও সংস্থাগুলো সর্বাত্মক
প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কেননা, দপ্তর ও সংস্থাগুলোর
অর্জিত সাফল্যের ওপর মন্ত্রণালয়ের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভরশীল।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে নবনিযুক্ত সচিব মোঃ আবুল
মনসুর এবং দপ্তর ও সংস্থার পক্ষে দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
আওতাধীন ১৭টি দপ্তর-সংস্থার মধ্যে রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত যে ১০টি দপ্তর-সংস্থার
সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (অচঅ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলো
হলো বাংলা একাডেমি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি,
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর,
কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, কপিরাইট অফিস, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং বাংলাদেশ লোক ও
কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। ঢাকার বাহিরে অবস্থিত ৭টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক
প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ অনলাইনে সংযুক্ত হন।
এবছর এপিএ’র কাঠামোর কিছু উন্নয়ন ও পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে; যেমন:
সুশাসন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রমসমূহকে (জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার
ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার)
সমন্বিতভাবে এপিএ’র অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।