ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে
আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য কনভেনশন, জলবায়ু
পরিবর্তনের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন, মরুকরণ রোধ কনভেনশন, বিপজ্জনক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ
সম্পর্কিত বাসেল কনভেনশন, জৈব দূষক সম্পর্কিত স্টকহোম কনভেনশন, ওজোন স্তর ক্ষয় রোধ
সম্পর্কিত মন্ট্রিল প্রোটোকল সহ সমস্ত প্রধান বহুপাক্ষিক পরিবেশগত চুক্তিতে স্বাক্ষর ও
অনুসমর্থন করেছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন
হাউজ গ্যাস নির্গমণ নিঃশর্তভাবে ৭ শতাংশ এবং শর্তসাপেক্ষে ১৬ শতাংশ কমিয়ে আনবে।
বাংলাদেশ জাতীয় জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালে
চুয়ার্ডের সঙ্গে বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও
জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল
আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব
(পরিবেশ) মোঃ মনিরুজ্জামান এবং অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ
উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সীমিত ভূমি সত্ত্বেও দেশের স্থলভাগের ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ
প্রকৃতি সংরক্ষণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে যার মধ্যে ৪৮টি সুরক্ষিত এলাকা এবং ১৩টি
পরিবেশগতভাবে সংকটপূর্ণ এলাকা রয়েছে। এছাড়াও ইতোমধ্যেই দেশের মোট সামুদ্রিক এলাকার ৬
দশমিক ২০ শতাংশ এলাকায় ৪টি সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
বনমন্ত্রী বলেন, রামসার জলাভূমিতে একটি টেকসই ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
টাঙ্গুয়ার হাওরের কমিউনিটি-ভিত্তিক টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য
সংরক্ষণ সুইস উন্নয়ন সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ
এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন উদ্যোগসমূহ স্থলজ, সামুদ্রিক অঞ্চলে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ
বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধার কার্যক্রম আরো জোরদার করতে সুইজারল্যান্ডের
সহযোগিতা কামনা করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালে চুয়ার্ড বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ
এবং জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে
অব্যাহত থাকবে।