ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
আজ ১ ডিসেম্বর, ২০২১ বিশে^র অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ^ এইডস দিবস। এইডস এর সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই এবারের বিশ্ব এইডস দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য। এবারের বিশ^ এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমতার বাংলাদেশ, এইডস ও অতিমারি হবে শেষ’। (End Inequalities. End AIDS. End Pandemics.)।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ মহাখালিস্থ বিসিপিএস অডিটোরিয়াম হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বারদান জং রানা (Dr. Bardan Jung Rana)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
মন্ত্রী বলেন, সরকার অন্যান্য রোগের ন্যায় এইডস এর পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে দিচ্ছে। দেশের ১১টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইডস আক্রান্ত রোগীরা বিনামূল্যে সরকারি এই চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। করোনার এই সংকটকালেও সরকার এইডস রোগীদের পরীক্ষা কার্যক্রম ও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছে। নিকট ভবিষ্যতেই এইচআইভি টেস্টিং কার্যক্রম দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতাল সম্প্রসারণ করা হবে।
সড়কে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলোর সাথে সরকার সহানুভূতিশীল রয়েছে। তবে, সড়কে এভাবে দলবেঁধে চলাফেরা করায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। এতে আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি তাদের পরিবারও আক্রান্ত হবার ঝুঁকি রয়েছে সে বিষয়টিও তাদেরকে ভাবতে হবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলাদেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার ০.০১% নিচে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ সংক্রমণ কিছুটা বেশি। দেশে বর্তমানে সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার। দেশে গত ১ বছরে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ জনগোষ্ঠী ১৮৬ জন (২৬%), রোহিঙ্গা ১৮৮ জন (২৬%), বিদেশ ফেরত প্রবাসী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য ১৪৪ জন (২০%), ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণকারী ৬১ জন (৮%), নারী যৌনকর্মী ১৭ জন (২%), সমকামী ৬৭ জন (৯%), পুরুষ যৌনকর্মী ৫৩ জন (৭%), ট্রান্সজেন্ডার ১৩ জন (২%)।