ঢাকা, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা.
দীপু মনি বলেছেন, সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চায় না। টিকা নিয়ে যেনও শিক্ষার্থীরা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে। সেটিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হয়ত একটু অসুবিধা হতে পারে যারা ১২
বছরের কম বয়সী তাদের জন্য। সে বিষয়গুলো নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ইমপেরিয়াল কলেজের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের
প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
নতুন করে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কোভিড-
১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ধারণা ছিলো মার্চ-
এপ্রিলে বাড়বে। কিন্তু জানুয়ারির গোড়ার দিকেই বাড়ছে, কাজেই আমাদের যে পরিকল্পনা তাতে
কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্ট দরকার হবে। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চায় না। টিকা নিয়ে
যেন শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে। সেটিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শিখন ঘাটতি পূরণে নিরাময়মূলক ক্লাস নেওয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেড় বছরে
লেখাপড়ায় যে ঘাটতি হয়েছে, সেটি পূরণের জন্য রেমিডিয়াল ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করছি। কিন্তু
আমাদের অনেক সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। কারণ আবার করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত দেড়
বছর শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি ক্লাস করতে পারেনি। শ্রেণিকক্ষে তাদের পাঠদান করানো যায়নি।
অনলাইনে বা টেলিভিশনে করেছে, এতে যে ঘাটতি হয়েছে তাতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের মাধ্যমে
ঘাটতি পূরণ করতে হবে। কিন্তু যেভাবে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছেন অনেকে, তাতে
করোনা সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষার ক্ষতিটাই বেশি হবে, সেটাকে মাথায় রেখে, সন্তানদের
ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে, আমরা প্রত্যেকে যেনেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোবিলায় প্রযুক্তি জ্ঞানের সঙ্গে সঠিক দক্ষতা থাকতে হবে, সেইসাথে মানসিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ থাকতে হবে। আমাদের
শিক্ষার্থীদের তৈরি হতে হবে খুব ছোটবেলা থেকে, পরিবারে মাধ্যমে। পরিবার যেমন শিক্ষার্থীকে
গড়ে তোলে তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলার অনেক দায়িত্ব আছে। শিক্ষা
ব্যবস্থায় যদি মানসিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ না থাকে তাহলে শিক্ষার্থীকে সেভাবে গড়ে তোলা
সম্ভব নয়। আর সে জন্যই আমরা নতুন কারিকুলাম করছি।
শিক্ষায় এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,
আমাদের চতুর্থ শিল্প বিব্লবের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখন দুনিয়া জুড়ে আর্টিফিশিয়াল
ইনটেলিজেন্সের সঙ্গে আমাদের অভ্যস্ত হতে হবে। এই প্রযুক্তির জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে।