নিউইয়র্ক, (১০ নভেম্বর) :
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন,
সহিংসতার দুষ্টচক্র ভাঙতে মূল কারণসমূহ খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি গতকাল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায়
রাখা: বর্জন, অসমতা ও সংঘাত’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের উন্মুক্ত বিতর্কে অংশ নিয়ে একথা
বলেন।
নিরাপত্তা পরিষদের চলতি মাসের সভাপতি দেশ মেক্সিকো এ উন্মুক্ত বিতর্কটির
আয়োজন করে যাতে অসমতা, বর্জন ও সংঘাত মোকাবিলায় নিরাপত্তা পরিষদের সম্ভাব্য
ভূমিকার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
Andres Manuel Lopez Obrador ।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক
প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সহিংসতার অন্তর্নিহিত কারণগুলি পরিবর্তিত হয়। তিনি আরো বলেন,
টেকসই শান্তির জন্য অংশীজনদের নিয়ে জাতীয়ভাবে পরিচালিত সমাধান কাঠামো বিনির্মাণে
জাতিসংঘের অবশ্যই পূর্নাঙ্গ পদক্ষেপ থাকতে হবে।
বৈষম্য ও বর্জনের কারণে যখন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংঘাতের সৃষ্টি হয়,
তখন তা প্রশমনে নিরাপত্তা পরিষদের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এক্ষেত্রে তিনি রোহিঙ্গা সংকটের উদাহরণ টেনে বলেন, মিয়ানমারে
রোহিঙ্গাদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বর্জনের কারণে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা এই
অঞ্চলকে গুরুতর মানবিক ও নিরাপত্তা বিপর্যয়ের মধ্যে নিপতিত করেছে।
আন্তর্জাতিক শান্তি বজায় রাখার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, জাতিসংঘের
শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও বিশেষ রাজনৈতিক মিশনসমূহ প্রতিরোধমূলক কূটনীতিতে দুর্দান্ত
অবদান রাখতে পারে কারণ তাদের কাছে রয়েছে সরাসরি মাঠ পর্যায়ের তথ্য, যা আসন্ন
কোনো সংকট মোকাবিলায় পূর্বসতর্কতা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে পারে।
অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা’ এবং ‘যুব, শান্তি ও নিরাপত্তা’
এজেন্ডা দুটিতে নিরাপত্তা পরিষদকে আরো বিনিয়োগ করতে পরামর্শ দেন বাংলাদেশের স্থায়ী
প্রতিনিধি।