ঢাকা, ৩ চৈত্র (১৮ মার্চ) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বলেছেন, এক কোটি নিম্নআয়ের পরিবারের কাছে সাশ্রয়ীমূল্যে
টিসিবি’র পণ্য দেশব্যাপী বিক্রয় শুরু হবে আগামী ২০ মার্চ । দুই কিস্তিতে এক কোটি পরিবারের
কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করা হবে। প্রথম কিস্তি বিক্রয় করা হবে ২০-৩০ মার্চ এবং দ্বিতীয়
কিস্তি বিক্রয় করা হবে ৩-২০ এপ্রিল।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকার কাওরান বাজারস্থ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সম্মেলন কক্ষে
ট্রেডিং করপোরেশন অভ্‌ বাংলাদেশ (টিসিবি) আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ফ্যামিলি কার্ডের
মাধ্যমে দেশের নিম্নআয়ের এক কোটি পরিবারের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়
উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের সুবিধার জন্য দেশব্যাপী এ
সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে বিশেষ ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করা হয়েছে। তবে এর
মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৯০ হাজার
পরিবারকে কার্ড প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে তাদের কাছে টিসিবি’র
এ সকল পণ্য বিক্রয় করা হবে। মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং
ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনায় নিয়ে
এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে করে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। বিতরণের আগের দিন
সংশ্লিষ্ট ফ্যামিলি কার্ড হোল্ডারদের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে। পণ্যের
মধ্যে রয়েছে ২ লিটার সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে, ২ কেজি চিনি ৫৫ টাকা দরে, ২
কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে, ২ কেজি ছোলা ৫০ টাকা দরে এক প্যাকেটে বিক্রয় করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঘোষণা মোতাবেক সুষ্ঠুভাবে দেশব্যাপী এ সকল পণ্য বিক্রয়ের বিষয়ে
সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোর এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ
দায়িত্ব রয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত প্রাপকগণ যাতে টিসিবি’র এ সকল
পণ্য পায়, সে জন্য সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের নিম্নআয়ের মানুষের জন্য
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি’র ট্রাক সেল অব্যাহত থাকবে। রমজান সংযমের মাস, সকলকে
সংযম প্রদর্শন করতে হবে। সকলে যদি এক সঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় না করেন, তা
হলে কোনো সমস্যা হবে না। দেশে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত রয়েছে,
কোনো পণ্য সংকটের সম্ভাবনা নেই। এসকল পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার
সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, দেশের মানুষ এর সুফল পেতে শুরু করেছেন। আগামীতে বছরব্যাপী
ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয়ের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা
রয়েছে।