ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ ( ২ ডিসেম্বর) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, বস্ত্রখাতে
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনার কারণে এ খাত জাতীয় রপ্তানির ধারাকে
করোনাভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বব্যাপী চলমান
করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের অভিঘাতে বস্ত্রখাতকে রক্ষায় অবদানের জন্য ৪ ডিসেম্বর
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২১’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ৭টি
সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
মন্ত্রী আজ ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২১’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংবাদিক
সম্মেলনে এ তথ্য জানান। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, বস্ত্র ও
পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, এস এম সেলিম রেজা
(অতিরিক্ত সচিব), বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ নুরুজ্জামানসহ বস্ত্র ও পাট
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালনকারী বস্ত্রশিল্পের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি
সঞ্চারের জন্য বস্ত্রখাত সংশ্লিষ্ট সকল উদ্যোগকে সমন্বিত করা এবং সংশ্লিষ্ট সকল
অংশীজনের বহুমুখী কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকার ২০১৯ সালে ৪ ডিসেম্বর-
কে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
বস্ত্রশিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার লক্ষ্য সামনে রেখে ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয়
বস্ত্র দিবস’ দেশব্যাপী উদযাপন করা হবে। এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য
‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন; বাংলাদেশের উন্নয়ন’।
মন্ত্রী বলেন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টি ও আধুনিক
প্রযুক্তিসম্পন্ন কারিগরি জ্ঞানের সমাবেশ ঘটিয়ে বস্ত্রশিল্পকে বিশ্বায়নের পথে এগিয়ে
নিতে এ মন্ত্রণালয় সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য
মসলিনকে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক রূপদানের জন্য ‘ঢাকাই মসলিন হাউস’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন জাননো হয়, ঢাকায় ওসমানী মিলনায়তন, বস্ত্র দিবসের মূল
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম
মন্নুজান সুফিয়ান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির
সভাপতি মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।