একাদশে ফেরা সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে কৌতূহলের একটা জায়গা ছিল। ভাবনার সীমানায় সম্ভাব্য পজিশন ছিল মূলত তিন-চার-পাঁচ নম্বর। কিন্তু অনেকটাই চমকে দিয়ে তিনি ব্যাটিংয়ে নামেন সাত নম্বরে। ম্যাচের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, পরিস্থিতির কারণেই বদলে গেছে তার ব্যাটিং অর্ডার।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রোববার ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচটিতে সাকিব ব্যাটিংয়ে নামেন ৭ নম্বরে। সুদীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এতটা নিচে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা আছে তার আর স্রেফ দুইবার। ২০১৮ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতে দুই ম্যাচে সাতে ব্যাট করেছিলেন তিনি। সেবার চোট কাটিয়ে তিনি ফিরেছিলেন দলে।

গত তিন বছরে এই সংস্করণে তিনি মূলত তিন নম্বরে ব্যাট করছিলেন। এই সময়ে কখনও কখনও খেলেছেন চারে।

শ্রীধরন শ্রীরাম বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হয়ে আসার পর নানা ধরনের পরীক্ষা চলছে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচে নতুন উদ্বোধনী জুটি নিয়ে নামে বাংলাদেশ। এরপর তিন, চার ও পাঁচে গত কয়েক ম্যাচের ধারাবাহিকতায় লিটন দাস, আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনকেই খেলানো হয়। আগের ম্যাচে সাতে খেলা ইয়াসির আলিকে এ দিন নামানো হয় ছয়ে, সেদিন ছয়ে খেলা নুরুল হাসান সোহান এবার খেলেন আটে। এই দুজনের মাঝে নামানো হয় সাকিবকে।

দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এত পরে ব্যাটিংয়ে নামা নিয়ে ধারাভাষ্যকাররা বিস্ময় প্রকাশ করেন খেলা চলার সময়। ম্যাচের পর ধারাভাষ্যকার ও সাবেক নিউ জিল্যান্ড ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ম্যাকমিলানের প্রশ্নে সাকিব ব্যাখ্যা করলেন কারণ।

“আমার ওপরে ব্যাট করারই কথা ছিল। তবে ওদের দুজন স্পিনার বোলিং করছিল, আমাদের মনে হয়েছে, উইকেটে ডানহাতি-বাঁহাতির সমন্বয় রাখলে ভালো হবে। তবে আজকে তা কাজে লাগেনি।”

অফ স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল ও লেগ স্পিনার ইশ সোধি বল করছিলেন তখন। টানা তিন ম্যাচ একই উইকেটে হওয়ায় হ্যাগলি ওভালের ২২ গজ এ দিন ছিল একটু মন্থর। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ম্যাচ সেরা হন ব্রেসওয়েল। সোধিও নেন দুই উইকেট।

চতুর্দশ ওভারে ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে গিয়ে দলকে উদ্ধার করতে পারেননি সাকিব। ১৬ বল খেলে অধিনায়ক করতে পারেন ১৬। আরও একটি ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৩৭ রানে আটকে গিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ৮ উইকেটে।