সবুজ বাংলাদেশ ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের আলোচনাসভায় বক্তব্য দেওয়া শেষে বের হচ্ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এ সময় এক ব্যক্তি মেয়রের পেছন পেছন ব্যাগ হাতে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সন্দেহ হলে অনুষ্ঠানের আয়োজকরা তাকে তল্লাশি করে ব্যাগে সাদা কাপড় ও দুটি ছুরি খুঁজে পান। তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য এগিয়ে যান দুই নারীসহ আরও চারজন। পরে ওই পাঁচজনকেই আটক করে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন আইনজীবীরা।
বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তিদের একজন ছিলেন ঢাকা আইন জেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ ইকবাল ওরফে রিপন। ঢাকা জেলার সব আইন কলেজ নিয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা আইন জেলা ইউনিটটি গঠিত। আটক অন্য চারজন তার কর্মী বলে জানা গেছে। অবশ্য বুধবার রাতেই আসিফ ইকবালসহ চারজনকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস তার বক্তব্য শেষে সুপ্রিমকোর্টের মিলনায়তন থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি তার পেছন পেছন ব্যাগ হাতে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার নাম জানায়নি পুলিশ।
সন্দেহ হলে অনুষ্ঠানের আয়োজকরা তাকে আটক করে তল্লাশি করেন। তার ব্যাগে সাদা কাপড় ও দুটি ছুরি খুঁজে পাওয়া যায়। এ সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা আসিফ ইকবালসহ আরও চারজন (তাদের দুজন নারী) তাকে ছাড়িয়ে নিতে যান। ক্ষুব্ধ আয়োজকরা তাদের মারধর করেন। পরে পাঁচজনকেই আটক করে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, আসিফ ইকবাল ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার বন্ধু। তাই সংগঠনের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে যোগাযোগ করার পর শুধু ব্যাগ হাতে মেয়র তাপসের পেছন পেছন যেতে চাওয়া ওই ব্যক্তি ছাড়া অন্য চারজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এমন ঘটনায় সংগঠনের এক নেতার নাম আসায় ছাত্রলীগ বিব্রত।
এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, তার (ব্যাগসহ আটক ব্যক্তি) বক্তব্য ছিল— তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটার জন্য এখানে এসেছিলেন। তার সঙ্গে বড় ছুরি ছিল। এত বড় ছুরি আনার বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আসিফ ইকবালসহ চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু ব্যাগ হাতে যাওয়া ব্যক্তিকে আটক রাখা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।