সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। তবে আটক ওই ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

শনিবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টা থেকে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের কবিরপুর এলাকায় সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ১টা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিক্ষুব্ধ জনতা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের কবিরপুর এলাকায় রিকশার যাত্রী ও মোটরসাইকেল আরোহীকে জিম্মি করে তাদের কাছে থাকা সব কিছু ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগীরা জানান, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার জিরানী বাজার থেকে কবিরপুর পর্যন্ত এলাকা জনমানবহীন। সড়কের দুই পাশে কোনো ধরনের প্রতিষ্ঠান, বাড়ি কিংবা বাজার নেই। এমনকি সড়ক বাতিও নেই। আগেও বিক্ষোভসহ মানববন্ধন হয়েছে। কিন্তু সড়ক বাতির ব্যবস্থা হয়নি। ফলে হেঁটে বা রিকশায় যাতায়াত করলে প্রায়ই ছিনতাইয়ের কবলে পরতে হয়। ছিনতাইয়ের পর ছিনতাইকারীরা খুব সহজেই জঙ্গলে পালিয়ে যায়। অনেক সময় পথচারীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও ঘটে। মহাসড়কের এই স্থানে ছিনতাই-অপহরণ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার বিক্ষোভকারী তুষার বলেন, আমরা এর আগেও একই কারণে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। সন্ধ্যা হলেই এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারি না। ছিনতাইকারীর আতঙ্ক নিয়ে পথ চলতে হয়। আমাদের এই সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা সড়ক থেকে যাব না।

আরেক বিক্ষোভকারী আব্দুল্লাহ বলেন, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের এই অংশে আমরা সড়ক বাতি চাই। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার চাই। আমরা ছিনতাইকারীর আতঙ্ক নিয়ে পথ চলতে পারব না। এ সমস্যা থেকে উত্তরণ চাই। সড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই ইউনুস আলী জানান, ঘটনাস্থলে থানার পরিদর্শক এমএম কামরুজ্জামানসহ একটি টিম গেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ একই কারণে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের কবিরপুর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। তবে ছিনতাই রোধ না হওয়ায় এবার মধ্যরাতে সড়কে নামেন তারা।