ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর ) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আমরা যখন কোন সেলুনে যাই,
তখন অবসর সময়ে আমরা হাতের নাগালে (বই, পত্রিকা প্রভৃতি) যা কিছু পাই, তা পড়ার
চেষ্টা করি। এতে করে আমাদের সময় যেমন সুন্দর কাটে, তেমনি আমরা জ্ঞানের আলোয়
সমৃদ্ধ হই। সে বিষয়টি বিবেচনা করে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে
সারা দেশে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে। উদ্যোগটি আপাত দৃষ্টিতে ক্ষুদ্র মনে
হলেও এর কার্যকারিতা ফলপ্রসূ ও সুবিশাল ।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি
মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয়
গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত মুজিব শতবর্ষে শত গ্রন্থাগারে 'পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ
হই' শীর্ষক ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
এসব কথা বলেন। তিনমাসব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখনই সময় পেতেন, তখনই বই পড়তেন।
এমনকি কারাগারে অন্তরীণের দিনগুলোতে তাঁর সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল বই। তিনি বলেন,
বইয়ের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক গড়তে হবে। নতুন টাকার গন্ধ যেমন আমাদের আকৃষ্ট করে,
তেমনি নতুন বইয়ের গন্ধও আমাদের আকৃষ্ট করে।
সরকারি-বেসরকারি গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ
করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় লাইব্রেরি ডিজিটালাইজড
করার একটি সমন্বিত প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে, যেটি বাস্তবায়িত হলে লাইব্রেরি হতে
তথ্যসেবা গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে। তিনি এসময়
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ১০০টি
পাঠাগারের প্রত্যেকটিকে তিন হাজার টাকা করে মোট তিন লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষণা
দেন।
উল্লেখ্য, সারা দেশের ১০০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের স্কুল, কলেজ ও
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুর রচিত 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'
গ্রন্থটি পাঠ করে লিখিতভাবে পাঠ-উত্তর অভিমত ব্যক্ত করার মাধ্যমে এ কার্যক্রমে
অংশগ্রহণ করবেন।