বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তাঁর ছেলেসহ বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিনিধিত্বকারী সব পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেছেন ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ এ সরোয়ারের সময়ে ‘অন্যায়ভাবে’ যাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাঁদের পুনর্বহালের দাবি তোলা হয়েছে।
সালমান এফ রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁকে কোথাও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তাঁর ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান।
রোববার ঢাকার পুরনো পল্টনে অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে ‘আইএফআইসি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত সকল কর্মকর্তাবৃন্দ’ ব্যানারে বিক্ষোভ করেন সাবেক কর্মকর্তারা।
তাদের অভিযোগ, আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ এ সরোয়ার, যিনি বর্তমানে ব্যাংকটির উপদেষ্টা।
এসব ‘লুটপাট’ সমর্থন না করায় ‘মানসিক চাপ’ সৃষ্টি করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
সে কারণ সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ এ সরোয়ারসহ সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ট ব্যক্তিদেরকে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরিয়ে আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য যে, সালমান এফ রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
একই সঙ্গে তিনি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাকে কোথাও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের নিয়ে ১৯৭৬ সালে যাত্রা করে ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স (আইএফআইসি) ব্যাংক লিমিটেড।
১৯৮৩ সালে সরকার ব্যাংক বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া শুরু করলে আইএফআইসি ব্যাংক পুরাপুরি বেসরকারি খাতে চলে যায়।
বর্তমানে ব্যাংকটিতে ৩২.৭৫% শেয়ার রয়েছে সরকারের হাতে, বাকি শেয়ার রয়েছে পরিচালক, উদ্যোক্তা ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
২০০৯ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান আইএফআইসি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেন।
২০১০ সালে তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন। তখন তার হাতে ছিল ব্যাংকের ৩০ শতাংশ শেয়ার।