৪ আষাঢ় ( ১৮ জুন) :
ভারতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার দেশটির সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছে – তার প্রতিবাদে সহিংস বিক্ষোভ এখন নানা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
তেলেঙ্গানা রাজ্যে বিক্ষোভকারীরা একটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ রাজ্যের সেকান্দরাবাদ শহরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং আরো অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে। উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ মিছিল, দোকানপাট ও ট্রেন-বাসে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে।
বিক্ষোভকারীরা বলছে, সরকার এই পরিকল্পনা বাতিল না করা পর্যন্ত তারা থামবে না।
কেন ক্ষুব্ধ এই বিক্ষোভকারীরা?
ভারতের নানা রাজ্যের ছোট ছোট শহর ও গ্রামের তরুণ-যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের এক বড় সুযোগ হচ্ছে সেনাবাহিনীর চাকরি।
তাদের চোখে, সৈনিকের চাকরি তাদেরকে নিয়মিত আয়, সামাজিক সম্মান, অবসরের পর পেনশন, এবং দারিদ্র্য থেকে মুক্তির উপায় এনে দিয়েছে।
প্রায় ১৪ লক্ষ জনবলের ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশটির অন্যতম বৃহৎ নিয়োগদাতা। প্রতি বছর সামরিক বাহিনী থেকে প্রায় ৬০ হাজার লোক অবসরে যান, আর তাদের জায়গা পূরণের জন্য ভারতে ১০০টি নিয়োগ কর্মর্সূচি পরিচালনা করে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ।
সরকারি কর্মকর্তারা এর কারণ হিসেবে করোনাভাইরাস মহামারির কথা বললেও বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতের সামরিক বাহিনী সম্পদের সীমাবদ্ধতায় ভুগছে এবং আধুনিকায়নের প্রয়াসেও গতিসঞ্চার হচ্ছে না।
সূত্র : বিবিসি বাংলা