ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
দেশের উপকূলীয় সুপেয় পানি সংকটাপন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে চায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। খুলনা-বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে দীঘি খনন এবং জলাধার নির্মাণের লক্ষ্যে পৃথক দু’টি প্রকল্পের যাচাই সভা আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, ভূগর্ভস্থ পানির পুনর্ভরণ, দুর্যোগে সুপেয় পানি সরবরাহ, পানির লবণাক্ত প্রভাব হ্রাস, কৃষি, মৎস্য ও বনায়ন উন্নয়নে ৪৬ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার এবং তিন কোটি ৫৬ লাখ টাকার দু’টি পৃথক প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে চায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনে দুর্যোগ বেশি হচ্ছে এবং যেকোন দুর্যোগে উপকূলাঞ্চলে সুপেয় পানি সংকটে মানুষের খুব কষ্ট হয়। তাই সরকারি জমিতে পুকুর, দীঘি খনন এবং তা রক্ষণাবেক্ষন করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে সরকারের এই উদ্যোগ। পানির এসব আধার থেকে লোকালয়ে সংযোগের মাধ্যমে পানি পৌঁছানো হবে।”
অধিকন্তু, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে গোপালগঞ্জের পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে পৃথক একটি প্রকল্প একই সভায় আলোচনা হয়। টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়া এবং গোপালগঞ্জ সদরের প্রায় ৬৫ হাজার ৫৭১ হেক্টর জমিকে বন্যা ও লবণাক্ততা থেকে রক্ষায় এবং নৌ-যোগাযোগ সুগম করার উদ্দেশ্যসহ প্রকল্পের সমাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে জুন,২০২৪।
এসময় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) রোকন উদ দৌলা, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আলম আরা বেগম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ কে এম সামছুল আলমসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।