ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সুষম উন্নয়নের
জন্য পরিস্কার জ্বালানির প্রসার অপরিহার্য। পরিবেশকে সুসংহত রেখেই উন্নয়ন করা হবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে প্রযুক্তির সুষম বন্টন প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে জার্মান সরকারের কারিগরী সহায়তায় প্রকল্প
‘রিনিউয়েবল এনার্জি এফিশিয়েন্সি প্রোগ্রাম’-এর সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে
এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে জিআইজেড জ্বালানি সচেতন সমাজ গঠনে
প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও
পরিবেশের সাথে সমন্বয় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালনির দক্ষতা ও সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে
হবে। তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যমান প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে।
জিআইজেড-এর কারিগরী সহযোগিতায় স্রেডা স্থাপন করেছে ন্যাশনাল সোলার হেল্প ডেস্ক
– যা দেশে রুফটপ সোলার তথা নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিস্তারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আয়োজিত হয় দেশের প্রথম টেকসই জ্বালানি
আইডিয়া চ্যালেঞ্জ। ২০১৯ সালে আয়োজিত হয় প্রথম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এনার্জি
এফিশিয়েন্সি এন্ড কনজারভেশান এওয়ারনেস। জ্বালানি সচেতন সমাজ গঠনের জন্য নাগরিকদের
স্বতঃস্ফুর্ত যোগদান জরুরি। এই বিষয়টিতে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে স্রেডা অন্যান্য অংশীদারদের
সাথে শুরু করেছে ‘সাশ্রয়ে জ্বালানি, সমৃদ্ধ আগামী’ নামক সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন-এর সঞ্চালনায় “স্রেডাঃ
২০২১ পরবর্তী যাত্রা” শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় স্রেডার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনোয়ারুল
ইসলাম শিকদার এনডিসি, বুয়েটের প্রাক্তন প্রফেসর ড. এম নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পল্লী
বিদ্যুতায়ন বোর্ড-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবদুর রউফ মিয়া, বিজিএমইএ-এর
পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, বিএসআরইএ-এর সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া এবং জিআইজেড
বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. এঞ্জেলিকা ফ্লেডারম্যান তাদের মতামত তুলে ধরেন।
স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান
এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ত্রোয়েস্তার অনলাইনে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।