যশোর প্রতিনিধিঃ

অত্র মামলার বাদী একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। পাটকেলঘাটা বাজারে বাদীর আরাধ্য জুয়েলার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। যাহার ট্রেড লাইসেন্স নং-৯৮২/২০২২-২০২৩। বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য যশোরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষ (৩৪), পিতা- সুনীল ঘোষ, মাতা-পারুল ঘোষ, সাং-বুনোপাড়া, ষষ্টিতলাপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর মোবাইল নং-০১৭১৮-৭৩৬১৬৬ এর নিকট থেকে স্বর্ণ ক্রয় করে থাকে। একইভাবে গত ইং ২৯/১২/২০২২ তারিখে বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য ৭৪(চুয়াত্তর) ভরি স্বর্ণ ক্রয়ের নিমিত্তে বাদীর ছেলে গোপি দে (মোবাইল নম্বর ০১৯৩৭-৯৪৮৩৫৫) কে যশোরে সঞ্জয় ঘোষ এর নিকট প্রেরণ করে। বাদীর ছেলে সকাল অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকার সময় সঞ্জয় ঘোষ এর বাড়ীতে পৌঁছিয়া, সঞ্জয় ঘোষ এর নিকট থেকে ৫০(পঞ্চাশ) ভরির স্বর্ণের পিন্ড বার এবং ২৪(চব্বিশ) ভরি স্বর্ণের চেইন নিয়ে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে মটর সাইকেল যোগে রওয়ানা হয়। বাদীর ছেলে যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন যশোর-মনিরামপুর রোডস্থ সুতিঘাটা শ্মশানঘাটের কাছাকাছি নির্জন এলাকায় পৌঁছাইলে বাদীর ছেলেকে মটরসাইকেলে রানিং অবস্থায় গ্রেফতারকৃত ১নং ও ৩নং আসামীসহ অন্যান্য দুস্কৃতিকারী-সন্ত্রাসী পরস্পর যোগসাজসে প্রাইভেটকারের ভিতর থেকে হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে তারা বাদীর ছেলেকে তাদের ব্যবহৃত ০২টি প্রাইভেটকারের মধ্যে ০১টির ভিতরে নিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বাদীর ছেলের নিকটে থাকা ৭৪ (চুয়াত্তর) ভরি স্বর্ণ ছিনতাই করে নিয়ে তাকে রাস্তার সাইডে ফেলে দিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ও মোটর সাইকেল অপেক্ষাকৃত একটু দুরবর্তী স্থানে ফেলে দিয়ে চলে যায়। এ সংক্রান্তে অত্র মামলার বাদী কোতয়ালী মডেল থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দাখিল করিলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৬৫, তাং-২৫/০১/২০২৩ ইং, ধারা- ৩৯৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

পুলিশ সুপার যশোর মহোদয় মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখায় অর্পন করলে, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, যশোর মামলাটির তদন্তভার এসআই(নিঃ) মোঃ নুর ইসলাম এর উপর অর্পন করেন।

অভিযানঃ পুলিশ সুপার, যশোর মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় জনাব রুপন কুমার সরকার, পিপিএম-বার, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখার নেতৃত্বে, এসআই মোঃ নুর ইসলাম, এসআই মোঃ সোলায়মান আক্কাস, এসআই মোঃ শামীম হোসেন, এএসআই রঞ্জন কুমার বসু ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ০১টি চৌকস টিম ঘটনায় জড়িত আসামীদের সনাক্ত করিয়া আসামীর অবস্থান সনাক্ত পূর্বক ইং-২৮/০১/২০২৩ ও ২৯/০১/২০২৩ তারিখ যশোর কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত নিম্ন-বর্ণিত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিম্ন-বর্ণিত আলামত সমূহ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ও ঠিকানাঃ
১) শাহরিয়ার আলম খাঁন(৪৬), পিতা-মৃত শামসুল আলম খাঁন, মাতা-মনোয়ারা আলম খাঁন, সাং-পিয়ারী মোহন রোড বেজপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-যশোর, ২) বাবু দত্ত(৪৩), পিতা-শম্ভু দত্ত, মাতা-দেবি দত্ত, সাং-৭৩ উমেশ চন্দ্র লেন, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-যশোর, ৩) সাইফুল ইলসাম নয়ন(৪২), পিতা-শেখ আঃ সামাদ, মাতা-সালেহা বেগম, সাং-জনৈক প্রফেসার ওয়ালিউর রহমান এর বাসার ভাড়াটিয়া, বেজপাড়া, পিয়ারী মোহন রোড, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর, স্থায়ী ঠিকানা-সাং-মৌতলা কাটাখালী, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-সাতক্ষীরা, ৪) নিশিত কুমার সরকার(৪৮), পিতা-মৃত. নিমাই কুমার সরকার, মাতা-অনিমা রানী সরকার, সাং-নলডাঙ্গা রোড, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর, ৫) কার্তিক চন্দ্র চন্দ(৬৩), পিতা-মৃত. কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ, সাং-শ্রীধর পুকুরপাড়, বেজপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।


জব্দকৃত আলামতঃ
i) স্বর্ণালংকার ৫২ (বায়ান্ন) ভরি।
ii) একটি .২২ বোর রাইফেল।
iii) ২টি ম্যাগাজিন।
iv) ৩০ টি গুলি ভর্তি বিভিন্ন রংয়ের গুলির বাক্সে সর্বমোট ১৫০০ (পনের শত) রাউন্ড .২২ বোর গুলি।
v) ২৮টি .২২ বোর গুলির ব্যবহৃত খালি খোসা।
vi) ০১টি MARCEL A01s মডেলের বাটন মোবাইল ফোন।
vii) ০৪টি মানকি টুপি।
viii) ০১টি অস্ত্রের লাইসেন্স যার নং-০১/রাই/২০০৪।
ix) ০১টি প্লাষ্টিকের কীট বক্স।
x) ০১টি মাইক্রোবাস (যাহা স্বর্ণ বিক্রয় লব্ধ অর্থ হতে ধৃত ১নং আসামী ক্রয় করে).

 

নুরুজ্জামান মিন্টু