ঢাকা, ২ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) :
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও
বাস্তবায়ন শীর্ষক বিষয়াদি নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম
আজাদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা
বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, সাবেক আইন সচিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট
(নিপোর্ট) এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ শাহজাহানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় আলোচকগণ দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা
আইন প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে মানুষের স্বাস্থ্য বিমা করার
বিষয়টিতে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় কীভাবে পকেট
এক্সপেনডিচার (Expenditure) কমানো যায় সে ব্যাপারে কাজ করতে সভায় উপস্থিত
কর্মকর্তাদের তাগিদ প্রদান করেন মন্ত্রী। মন্ত্রী সভায় স্বাস্থ্যখাতের নানা
অর্জনসমূহ তুলে ধরেন। করোনায় গত দেড় বছর স্বাস্থ্যখাতে কাজের অগ্রগতিতে নানা
সমস্যার কথাও বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য বিমার গুরুত্ব উল্লেখ করাসহ স্বাস্থ্যখাতে আরো
বাজেট বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার গুরুত্ব রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, গত
২০০০-০১ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট ছিল ২ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। বর্তমানে
২০২১-২২ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট হচ্ছে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। গত ২১ বছরে
হিসেব করলে স্বাস্থ্যখাতের বাজেট ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে; তবে বিশ্বের উন্নত দেশের দিকে
তাকালে দেখা যায়, সেসব দেশের স্বাস্থ্য সেবাখাতে বাজেট বহুগুণ বেশি। দেশের প্রতিটি
সরকারি হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার থেকে ৩ গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। অথচ
দেশে চিকিৎসা সেবায় মোট জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৯ ভাগ ব্যয় হচ্ছে। সেখানে উন্নত
দেশগুলো জিডিপির ৫ ভাগ বা তারও বেশি ব্যয় করছে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য
বর্তমান সরকার অনেক কিছুই করছে। স্বাস্থ্য বীমাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর আইন
প্রণয়ন করা গেলে সেটি স্বাস্থ্য সেবায় একটি যুগান্তকারী কাজ হবে।