ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই) :  
স্মার্ট সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আইসিটি বিভাগের সভাকক্ষে বৈঠককালে এ
বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জাপানের সহযোগিতায় স্মার্ট সিটি প্রতিষ্ঠা,
ইনফরমেশন শেয়ারিং লক্ষ্যে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির
সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, হাইটেক পার্কের অধীন জাপান -বাংলাদেশ আইটি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাপানি টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের মাধ্যমে ই-ওয়েস্ট
ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট, জাপানি প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অভ্‌
ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, এটুআই পরিচালনায় ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠা, ই-
গভর্নেন্স আরো টেকসই করা, বাংলাদেশ-জাপান ডিজিটাল সামিট ব্যবস্থা করাসহ
বাংলাদেশের আইটি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে যৌথভাবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব
জাপানের রাষ্ট্রদূতের কাছে উপস্থাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ইআরডির নিকট বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিল্প বিপ্লব ৪.০ এবং সোসাইটি ৫.০ সম্পাদনে বিশেষত্ব
পূরণের লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ।
বাংলাদেশ স্মার্ট সিটির বিকাশে কাজ করার আগ্রহের প্রশংসা করে পলক বলেন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের কর্মসূচি – ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ – অর্থাৎ
গ্রামীণ মানুষের কাছে সমস্ত আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে জাপান সহায়তা করতে
পারে। তিনি আরো বলেন, কেবল স্মার্ট সিটির বিকাশই নয়, বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে
পরিণত করতে এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অটোমোবাইল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জাপান
সহায়তা দিতে পারে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অনুসারে
কর্মসংস্থান ও দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে
রাষ্ট্রীয়-শিল্প-উদ্ভাবন কেন্দ্র এবং গবেষণা ও উন্নয়ন সুবিধাসমূহ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ
নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে দেশে ৩৯টি হাই-টেক ও আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে

উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী নির্মিত হাইটেক পার্কসমূহে জাপানি আইটি কোম্পানিগুলোর
বিনিয়োগের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে জাপান ও বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিকাশের মাধ্যমে দু’দেশের
মধ্যকার সহযোগিতা আরো বিস্তৃত করার লক্ষ্যে একত্রে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ
করেন রাষ্ট্রদূত।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার
কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ বিকর্ণো কুমার ঘোষ এবং জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ
এসময় উপস্থিত ছিলেন।