ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৬ মে) :

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী
কমিটির সভায় সৌদি কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রাপ্ত হজের ব্যয় সম্পর্কিত তথ্যের ভিত্তিতে
ইতিপূর্বে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত (প্রভিশনাল) প্যাকেজ-১ এবং প্যাকেজ-২ এর মূল্য সৌদি
আরবে আবশ্যকীয় ব্যয় হিসেবে আরো ৫৯ হাজার টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সৌদি কর্তৃপক্ষ পবিত্র হজে মিনায় অবস্থান স্থলে ও প্রদেয় সেবার
মূল্যকে ৪ ক্যাটেগরিতে বিভক্ত করে ৪ ধাপের ব্যয় নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যয়ের
ধাপ ‘ডি ও ‘সি’ প্রকাশ করেছে। উক্ত তথ্য অনুযায়ী ধাপ ‘সি’ অনুসারে মোয়াল্লেম ফি ৮ হাজার ৬৪০
সৌদি রিয়াল এবং ‘ডি’অনুসারে ৭ হাজার ৪৯০ সৌদি রিয়াল ধার্য করা হয়েছে। উক্ত সেবা মূল্য
বিবেচনায় ধাপ ‘সি’অনুসারে মোয়াল্লেম ফি ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৭ টাকা এবং ‘ডি’অনুসারে মোয়াল্লেম
ফি ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পায়।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের হজযাত্রীদের আর্থসামাজিক অবস্থা ও হজযাত্রীদের
প্রতি বর্তমান সরকারের সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন সেবা হতে কিছু অর্থ
সাশ্রয় করে উভয় প্যাকেজে ৫৯ হাজার টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, উক্ত
টাকা জমা দেয়ার তারিখ ২৮,২৯ ও ৩০ মে নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তাই টাকা
জমা দেয়ার লক্ষ্যে আগামী ২৮ মে শনিবার দেশব্যাপী তফসিলি ব্যাংকসমূহ খোলা রাখার জন্য
বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনার সম্মানিত হজযাত্রীগণ নতুন ধার্যকৃত
অর্থ Sale Proceeds of Hajj Deposit (হিসাব নম্বর ০০০২৬৩৩০০০৯০৮) নামে পে-অর্ডার প্রস্তুত
করে ঢাকায় হজ অফিসে ৩০ মে এর মধ্যে জমা দিবেন। এক্ষেত্রে, মাহরামসহ হজযাত্রীদের
একসঙ্গে পে-অর্ডার প্রস্তুত করতে হবে। পে-অর্ডার গ্রহণের জন্য ঢাকায় আশকোনা হজ অফিসে
বিশেষ বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার সম্মানিত হজযাত্রীগণ সমপরিমাণ অর্থ
স্ব স্ব এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা দিবেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান গত ১১ মে হজ প্যাকেজ ২০২২ ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন জানানো
হয়েছিল, প্যাকেজ ঘোষণার পর রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক অতিরিক্ত কোনো চার্জ আরোপ করা

হলে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। কোনো অর্থ
অব্যয়িত থাকলে তা হাজীদের ফেরত প্রদান করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারণে
রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক হজের ঘোষণার বিলম্বের জন্য এবং সৌদি আরব হতে প্রকৃত খরচের
বিবরণী না পাওয়ায় সম্ভাব্য ব্যয় বিবেচনা করে প্রভিশনাল হজ প্যাকেজ প্রস্তুত করা হয়েছিল।