হত্যা মামলায় নাম আসা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে মামলার তদন্তের স্বার্থে দেশে ফিরিয়ে আনতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। তিনি আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিনুর রহমানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বরাবর নোটিশটি পাঠান।

এদিকে আজ দুপুরে বিসিবি কার্যালয়ে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদসহ কয়েকজন পরিচালক বৈঠকে বসেছেন। যে কারণে এ ব্যাপারে বিসিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাকিবের নামে আগেও বহু অভিযোগ ছিল। বর্তমানে তিনি হত্যা মামলার আসামি।
ওই আইনজীবীর দাবি, আইসিসি ও বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী কোডে বলা আছে, যখন পুলিশ কোনো অভিযোগ গ্রহণ করবে বা যখন কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আসবে, তখন সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বোর্ড বিবেচনা করে তাকে সাময়িকভাবে অপসারণ করতে পারে। যেহেতু এটা তদন্তাধীন একটি বিষয়, তাকে খেলা থেকে বাদ দিলেই হবে না, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। তদন্তের প্রয়োজনে তার কাছে প্রশ্ন থাকতে পারে। আমি একজন আইনজীবী হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী যা করা যায়, সে দাবি জানাচ্ছি।

৫ আগস্ট আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় সাকিবকে আসামি করা হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে সরকার পতনের দাবিতে সংঘর্ষ চলাকালে ৫ আগস্ট পোশাক কারখানার কর্মী রুবেল গুলিবিদ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে এ মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাকিবসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিং রোডে মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও মদদে মিছিলে গুলি ছোড়া হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তিনি মারা যান।