কিংস্টন, (১৪ ডিসেম্বর):

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ জ্যামাইকাতে সমর্বতী রাষ্ট্রদূত (হাই কমিশনার) হিসেবে
পরিচয়পত্র পেশ করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব
ফাতিমা। গতকাল দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে অবস্থিত কিংস্‌ হাউজে
জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল স্যার প্যাট্রিক লিন্টন অ্যালেন এর কাছে এ পরিচয়পত্র পেশ
করেন তিনি।

পরিচয়পত্র পেশের সময় জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল, সরকার ও জনগণের প্রতি
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন নবনিযুক্ত হাইকমিশনার
রাবাব ফাতিমা।

এসময় হাইকমিশনার ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার মধ্যে বিদ্যমান
চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো জোরদার ও ঘনিষ্ট করার জন্য আমি সর্বাত্মক
প্রচেষ্টা গ্রহণ করব।

তিনি আরো বলেন জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক
ফোরামে বাংলাদেশ ও জ্যামাইকা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং সামনের দিনগুলোতে
প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ দু’টির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো গভীর ও সম্প্রসারিত করার
অপার সম্ভাবনা রয়েছে। গভর্নর জেনারেল হাইকমিশনার ফাতিমার মঙ্গল কামনা করেন এবং
আশা প্রকাশ করেন যে তাঁর মাধ্যমে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।

পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের আগে জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী
কামিনা জনসন স্মিথ এর সাথে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এসময় জ্যামাইকার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে নারী নেতৃত্বের রোল মডেল হিসেবে উল্লেখ করেন স্মিথ। জ্যামাইকার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের হাইকমিশনার পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়
নিয়েও আলোচনা করেন এবং উভয়েই বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক
সম্পর্ক জোরদার করার গভীর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে
আলোচনা, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং জনগণের
মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো বাড়ানো যেতে
পারে বলে উল্লেখ করেন হাইকমিশনার ফাতিমা। তিনি বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার মধ্যে
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।