বিশ্বকাপের আরও একটা হাইভোল্টেজ ম্যাচে আজ মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। লক্ষ্মৌর একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
কঠিন এক পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধারের মিশনের শুরুটা যে ভালো হয়নি প্যাট কামিন্সদের। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং উভয় ডিপার্টমেন্টে বিধ্বস্ত হয়েছিল শিরোপা প্রত্যাশী দলটি। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ন্ত সূচনা করেছে।
একদিকে পাঁচবার শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থা বেশ রহস্যময়। বিশ্বকাপের মঞ্চে দারুণভাবে জ্বলে ওঠে দলটি, কিন্তু ওই পর্যন্ত। হঠাৎ করে নিভে যায়। শিরোপা পর্যন্ত আর যাওয়া হয় না। সর্বোচ্চ দৌড় সেমিফাইনাল। বিশ্বকাপ আসরে কোথায় যেন এক রহস্যের জালে আটকে পড়ে প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপের আগে সর্বশেষ ১০ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ ম্যাচে জয় পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার জয় দুই ম্যাচে। সবশেষ তিন ম্যাচে তো অজিদের উড়িয়ে দিয়েছে। ১১১, ১৬৪ আর ১২২ রানে জয় প্রোটিয়াদের।
বিশ্বকাপে মুখোমুখি লড়াইয়ে অবস্থা অনেকটা বিপরীত। ছয় ম্যাচের তিনটিতে অস্ট্রেলিয়ার জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় দুই ম্যাচে, এক ম্যাচ টাই। বিশ্বকাপের অতীত টুর্নামেন্টে যা হোক না কেন এবারের আসরে গরম লোহা হয়ে আছে টেম্বা বাভুমার সতীর্থরা। প্রথম ম্যাচে তার প্রমাণ দিয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছিল। টপ অর্ডারের কুইন্টন ডি কক, রাশি ফন ডার ডুসেন আর এইডেন মার্করাম সেঞ্চুরি করেছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডারদের এই ফর্ম অস্ট্রেলিয়ার জন্য মাথাব্যথার কারণ। আর লখনৌতে খেলা হওয়ায় মাথাব্যথাটা আরও বাড়তে পারে। কেননা দর্শকদের উল্লসিত হওয়ার সব আয়োজন লখনৌর উইকেটে জমা রয়েছে। অর্থাৎ রানের ফুলঝুড়ি ছুটবে এখানে। ব্যাটারদের নিয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও বোলিং তার হাসি কেড়ে নিতে বাধ্য। কেননা শুরুতেই জোড়া উইকেট হারালেও শ্রীলঙ্কা ওই ম্যাচে ঠিকই ৩০০ রানে অতিক্রম করেছিল।
লখনৌর পিচে সাধারণত স্পিনাররা সুবিধা পেয়ে থাকে। এ ম্যাচেও তেমনটা হলে অস্ট্রেলিয়ার জন্য তা অস্বস্তির বিষয় হতে পারে। কেননা ভারতের বিপক্ষে অজি ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেননি। তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেশব মহারাজকে মোকাবিলা করতে হবে। আবার এ ম্যাচে যোগ হতে পারেন তাবরাইজ শামসি। ফলে ব্যাটিংয়ে ভুগতে হতে পারে অস্ট্রেলিয়াকে। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য থাকলেও শেষ ম্যাচে জয় কিন্তু প্রোটিয়াদের। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। অন্যদিকে অজিদের ফিরে আসার প্রত্যয়। সব মিলিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের জন্য অপেক্ষা করছে টানটান উত্তেজনার এক ম্যাচ।