৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট):
হু হু করে বেড়েই চলেছে নিত্য পণ্যের দাম। হতাশা গ্রস্থ নিম্ন আয়ের মানুষ।
নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। আগামী দিনের কথা ভেবে তারা ভীষণ শঙ্কিত।
একের পর এক পণ্য মূল্য বেড়েই চলেছে। কোনো কিছুর নিয়ন্ত্রণ নেই। নেই কোন নিয়মনীতি এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকারের তেমন কোন তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা,তাদের খেয়াল খুশি মত,প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে।
গত একমাস আগে পণ্যের যে দাম ছিল বর্তমানে তা শতকরা ১০,থেকে ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। নড়াইলের লোহাগড়ায় চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেক ৭ টাকা,আটা কেজিতে ১০টাকা, সোয়াবিন কেজিতে ২০টাকা এছাড়া ডাল,মসলা, সাবান থেকে শুরু করে প্রতি টি নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যই এখন ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা। সংসারের ব্যয়ভার কমিয়েও কিছু করতে পারছেন না। এ বিষয়ে এক বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মোঃ আব্দুল আজিজ এই প্রতিবেদককে তার কষ্টের কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তায় ভীষণ উদ্বিগ্ন। খাবো কি সেই চিন্তায় অস্থির, লেখাপড়া তো পরে। লক্ষীপাশা ইউনিয়নের বাসিন্দা ভ্যানচালক ফরিদ সিকদার বলেন, সারাদিন ভ্যান চালায় যা পাই তাতে আর সংসার চলে না। নুন আনতে পান্তা ফুরায়। দুই ছেলে দুই মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে তার সংসারের আর চালাতি পারতিছি না, এ যেন মরার উপর খাড়া ঘা। সারাদিনের রোজগারে কোনো রকম বেঁচে আছি। আফসোস করে বলেন, মাছ মাংস এখন স্বপ্ন হয়ে গেছে, মাঝে মাঝে ডিম খেতাম,তাও ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে । বর্তমানে ডিমের হালি ৫৬ টাকা যা কিনছি ৪০ টাকা।
লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা বাজারের মোটরসাইকেল মিস্তিরি সনজিত কুমার বলেন বর্তমান দ্রব্যমুল্যর বাজারের যে অবস্থা সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। মজুর শ্রেণির মাুনষ বর্তমানে চরম হতাশায় ভুগছেন। নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে নির্মাণ কাজ এখন আর আগের মত হচ্ছে না, ফলে বেশিরভাগ তাদের বেকার সময় কাটাতে হচ্ছে। না খেয়েই তাদের দিন কাটছে অনেক সময়।
নির্মাণ শ্রমিক ইমরান মোল্যা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কি করব বুঝে উঠতে পারছি না। বিবেকের তাড়নায় ভিক্ষা করতে পারবো না। ধুঁকে ধুঁকে মরা ছাড়া আর কোনো পথ বোধহয় খোলা নেই।
বিজ্ঞজনের অভিমত, সময়মত পদক্ষেপ না নিলে দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে বলে আশংকা ব্যক্ত করেছেন।
সরদার রইচ উদ্দিন টিপু