ঢাকা, ১২ কার্তিক (২৮ অক্টোবর):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, খুব দ্রুতই সারাদেশে ১২
থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের টিকা দেয়া হবে। পহেলা নভেম্বর থেকে ঢাকার ১২টি
কেন্দ্রে এবং ঢাকার বাইরের ২১টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা দেয়ার জন্য কেন্দ্র বৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে
অনুযায়ী যেসব স্থানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা নেই সেখানে দ্রুততার সাথে শীতাতপ সুবিধা
তৈরি করে ঢাকায় টিকা কেন্দ্র বৃদ্ধি করাসহ দেশের সব জেলাতেই ক্রমান্বয়ে টিকা দেয়ার
উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আজ সচিবালয়ে কেবিনেট শেষে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে
এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
১২-১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। ফাইজারের টিকা
দেয়ার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকতে হয়। এজন্য দেশের সব জেলাতেই
ক্রমান্বয়ে প্রয়োজন মতো শীতাতপের ব্যবস্থা করে দেশব্যাপী ১২-১৭ বছর বয়সী শিশুদের
টিকা দেবার কাজ শুরু করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ফাইজারের টিকা এখন হাতে
পর্যাপ্ত রয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে আরো ৩৫ লাখ ডোজ ফাইজারের ভ্যাকসিন দেশে
আসবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশে বর্তমানে টিকার কোন সংকট নেই উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় আরো
বলেন, ২৭ অক্টোবর রাত দেড়টায় চীনের সিনোফার্মের আরো ৫৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন
এসেছে। এ নিয়ে এখন আমাদের হাতে প্রায় ২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে।
আগামীতেও এভাবেই টিকা আসতেই থাকবে বলে আশা করছি। কাজেই, ডিসেম্বরের মধ্যেই
টিকাদানের ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার ৫০ ভাগ পুরণ করা সম্ভব হবে।
১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেবার পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষদের
জন্যও টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে এসময় মন্ত্রী জানান। এ প্রসঙ্গে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজ, কাল ও পরশু ৩ দিনে দেশের সাধারণ মানুষকে করোনার দ্বিতীয়
ডোজ হিসেবে প্রায় ৮০ লাখ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, স্কুলগামী
শিশুদের জন্যও টিকাদান কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলমান থাকবে।