বাংলাদেশে পনেরোই অগাস্টকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উদ্বেগ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

এতদিন জাতীয় শোক দিবস ১৫ই অগাস্টের যে সরকারি ছুটি ছিল মঙ্গলবার সেটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

দেশটির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে ঢাকার ধানমণ্ডিতে একত্রিত হয়ে শ্রদ্ধা জানাতে চায় আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে, দলটি যেন কোনো কর্মসূচি পালন করতে না পারে, সেজন্য মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

দু’পক্ষের এমন পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে দেশে আবারও সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এক ধরনের উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এমন একটি সময় এসব ঘটনা ঘটছে, যখন নিজেদের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে হামলার শিকার হয়ে রীতিমত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশটির পুলিশ বাহিনী।

ফলে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটি মোকাবেলা করা বর্তমান সরকারের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা

১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।

শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ দিনকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। পরে ২০০২ সালে বিএনপি -জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।

পরে ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর হাইকোর্টের এক আদেশে দিবসটিকে আবার পুনর্বহাল করা হয়।