বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের কাঁধের উপর চেপে বসেছিল মহিলা ফেরাউন শেখ হাসিনা। তাকে সরানোর জন্য কচি শিশুরা কাঁধে স্কুল ব্যাগ নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। পরে হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। আন্দোলনে শিশু ও ছাত্রদের মায়েরা পানির বোতল হাতে নিয়ে তার কোমলমতি শিশুকে সহযোগিতা করেছিলেন। তারা যে অসীম সাহসিকতা দেখিয়েছিলেন সেটি শুধু ছিল বীরত্বের ইতিহাস। এ দেশ কখনও জালিমকে ক্ষমতায় রাখে না। সেটা শেখ হাসিনা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ছিল ভণ্ড, মুর্খ প্রধানমন্ত্রী। যখন জনগণ তাকে পছন্দ করে না তখনই তার ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া উচিত ছিল। অসহায় মিসকিনদের প্লট শেখ হাসিনার পরিবার ছিনতাই করেছিল। আওয়ামী লীগ মিসকিনদের জমি আত্মসাৎকারী। এরা শিশু বাচ্চার প্রাণ কেড়ে নিতে দ্বিধাবোধ করে না। শেখ হাসিনা বলছেন আমি দেশের কাছেই আছি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ মনে করছেন জল্লাদ কাছে আসছেন ফাঁসির দড়ি নিয়ে।
সোমবার দুপুরে সদরের চক আকাশতারা এলাকায় বগুড়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ৩ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ‘আমরা বিএনপি’ পরিবারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতার প্রতি এতটাই লোভ ছিল যে তিনি মানুষ খুন করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। শেখ হাসিনা দেশের টাকা লুট করেছেন। সেই টাকা আজ জনগণের বিরুদ্ধে খরচ করছেন। তার লুট করা টাকায় কেনা অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলানিসহ তার পরিবারের উপর হামলা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা যতই দেশের কাছাকাছি আসবেন ততই মেঘ কালো হবে। দেশে আবারো অন্ধকার নেবে আসবে। তিনি আসলে রাস্তা রক্তে রঞ্জিত হবে। পনের থেকে ষোল বছরে দেশে কোন বিচার ছিল না। বিচার বিভাগ ছিল শেখ হাসিনার দখলে।
আমরা বিএনপি পরিবার এর আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ ও আমরা বিএনপি পরিবার এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেল রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আহসানুল হক তৈয়ব জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ও গাবতলী পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম হেলাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে শহীদ রিক্সা চালক কমরউদ্দিন খান বাঙ্গী, শহীদ ছাত্র শাকিল হাসান মানিক ও গাবতলী পৌর শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদ মোঃ জিল্লুর রহমানের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।