ঢাকা, ৪ অগ্রাহায়ণ (১৯ নভেম্বর):
সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে
জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে Economic and Social Commission
of Asia and the Pacific-ESCAP আয়োজিত 2nd Ministerial Conference-এ যুক্ত হয়ে Civil
Registration and Vital Statistics in Asia and the Pacific শীর্ষক আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে টিম
লিডার হিসেবে অংশ নিয়ে একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রথম মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে সিভিল রেজিস্ট্রেশন এন্ড ভাইটাল
স্ট্যাটিসটিকস-সিআরভিএস ডিকেইড (২০১৫-২০২৪) এর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৪ সালের মধ্যে
শতভাগ জন্ম নিবন্ধন এবং পঞ্চাশ শতাংশ মৃত্যু নিবন্ধন করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
কনফারেন্সে দেওয়া বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে মোঃ তাজুল ইসলাম
বলেন, ইতোমধ্যে এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যে
পৌঁছাতে কাজ করছে সরকার।
সিআরভিএস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৪ সালেই বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছে উল্লেখ
করে মন্ত্রী বলেন, এসকাপের সহযোগিতায় ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য উন্নয়ন
সহযোগীদের সাথে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, রিজিওনাল একশন ফ্রেমওয়ার্ক এবং এসডিজি কর্তৃক
নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে নিবিড়ভাবে কাজ করা হচ্ছে। এ সময় সিআরভিএস
বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন সহযোগীদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, পাসপোর্ট, বিবাহ নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জমি
রেজিস্ট্রেশনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে জন্ম সনদ দরকার পড়ে। সে জন্য রেজিস্টার জেনারেল,
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিস জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে
অন্যান্য সহায়ক কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ কাজ করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, জন্ম নিবন্ধন করা থাকলে একজন শিশু বা পূর্ণবয়স্ক মানুষ বহু ধরনের
সুবিধা পেতে পারেন। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্যও জন্ম ও মৃত্যু
নিবন্ধন তথ্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথা সিআরভিএসের
কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অন্যতম মৌলিক নীতি `Leave no one
behind` কার্যকর করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।