মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে এরই মধ্যে মেট্রো পুলিশ ইউনিট বা এমআরটি পুলিশ গঠন করেছে সরকার। বিশেষায়িত এমআরটি পুলিশে যুক্ত হয়েছে আরও ২০০ জনবল। এ নিয়ে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে এমআরটি পুলিশে জনবল এখন ৪৩১ জন।
এ জনবল দিয়ে শনিবার (২১ অক্টোবর) থেকে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব পালন শুরু করতে যাচ্ছে এমআরটি পুলিশ।
তার আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝে নেবে এমআরটি পুলিশ। আনসার সদস্যসহ ডিএমপির ৩৫০ সদস্য এতদিন এমআরটির সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে আসছিলেন।
জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, আজ ডিএমপি কমিশনার (হাবিবুর রহমান) মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব এমআরটি পুলিশকে বুঝিয়ে দেবেন। একই সঙ্গে এমআরটিতে কর্মরত আনসার সদস্যসহ ডিএমপির ৩৫০ সদস্যকে ডিএমপিতে ফিরিয়ে আনা হবে। এ উপলক্ষে আজ উত্তরায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।
মেট্রোরেলের জন্য আলাদা ইউনিট গঠনের প্রস্তাব ছিল শুরু থেকেই। রেলওয়ে পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের একটি অন্যতম প্রাচীন বিশেষায়িত ইউনিট। এটি ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রেলওয়ে পুলিশ তার অধিক্ষেত্রে জেলা পুলিশের মতোই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, তদন্ত ও অন্য পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এমআরটি পুলিশও অনুরূপভাবে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা, যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিয়ম-শৃঙ্খলা ও অপরাধ দমনে কাজ করবে।
উদ্বোধনের আগে ও উদ্বোধন পরবর্তী সময়ে এমআরটি পুলিশ গঠনের আগ পর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স ও থানা পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে আসছিল।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। প্রথম দিনই চালু হয় উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশন দুটি। উদ্বোধনের দিন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পথে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন ২৯ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।