স্পোর্টস ডেস্ক :
২০২২ কাতার বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগেই বিপদে পড়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার।
কর জালিয়াতির মামলা দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৫ বছরের জেল হতে পারে।
বিশ্বকাপের আগে এ খবরে বিপদে শুধু নেইমারই নয়; গোটা ব্রাজিল দলই দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
নেইমারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করেছে ব্রাজিলের লগ্নিকারী সংস্থা ডিআইএস।
ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের বিরুদ্ধে সংস্থাটির অভিযোগ, ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার সময় করা চুক্তি স্বচ্ছ ছিল না। এমনকি ট্রান্সফার ফি নিয়েও কারচুপি হয়েছে।
সোমবার এই ইস্যুতে স্পেনের আদালতে হাজির হতে হবে পিএসজি তারকাকে। দোষ প্রমাণিত হলে অন্তত দুই বছরের জেল এবং জরিমানাও হতে পারে নেইমারের।
তবে ডিআইএস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা নেইমারের ৫ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তির আবেদন করবে।
সংস্থাটির দাবি, নেইমারের ইমেজস্বত্বের ৪০ শতাংশের মালিকানা তাদের।
২০০৯ সালে ১৭ বছরের নেইমার যখন সান্তোসের উঠতি তারকা, তখন ২০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে নেইমারের স্বত্ব কিনে নেয় তারা। কিন্তু পিএসজির বর্তমান তারকা নেইমার এখন সেটা অস্বীকার করছেন।
তাই মামলা ঠুকে দিয়েছে সংস্থাটি।
কর জালিয়াতির মামলায় নেইমারই একমাত্র আসামি নন। চুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেইমারের বাবা-মা, বার্সেলোনার দুই সাবেক সভাপতি সান্দ্রোস রোসেল ও হোসে মারিয়া বার্তেমেউ এবং বার্সেলোনা ও সান্তোসের তৎকালীন কোচকেও দায়ী করা হয়েছে। বার্সেলোনায় ১৭ অক্টোবর শুরু হবে মামলার শুনানি।
এ বিষয়ে নেইমারের আইনজীবী বেকার ম্যাকেঞ্জি রয়টার্সকে জানান, তারা স্প্যানিশ আদালতের কাছে আবেদন জানাবেন, নেইমারের পরিবারের প্রতি পরিচালিত এই মামলায় যথেষ্ট প্রমাণাদির অভাব রয়েছে।
স্পেনের সরকার পক্ষের আইনজীবিরা চাচ্ছে, নেইমারের দুই বছরের জেল এবং সঙ্গে ১০ মিলিয়ন ইউরোর আর্থিক জরিমানা। সে সঙ্গে বার্সার সাবেক সভাপতি সান্দ্রো রোসেলের ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১৪৯ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা।