ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
সাভারের আমিনবাজারে ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে ৬ ছাত্র হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সাড়ে ১১টায় ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আব্দুল আলিম, সাইদ মেম্বার, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন, জমসের আলী, মির হোসেন, মজিবর রহমান, নুর হোসেন, রজ্জব আলী, আলম, রানা, আব্দুল হামিদ, আসলাম মিয়া।
যাবজ্জীব কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজিব হোসেন, ওয়াসিম, সাত্তার, সেলিম, মনির হোসেন, আলমগীর, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির,রুবেল, নূর ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন, টুটুল, মাসুদ, মোখলেস, তোতন, সাইফুল। মোট ৫৭ জন আসামির মধ্যে ৩২ জনকে কারাদণ্ড দিলো আদালত। বাকি আসামি খালাস পেয়েছে।
এর আগে, গত ২২ নভেম্বর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলাচরে ঘুরতে যান ৭ বন্ধু। ডাকাত সন্দেহে তাদের মধ্যে ছয় জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ডাকাতির অভিযোগে আহত আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ডাকাতির মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। আর পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
ওই ঘটনায় নিহতরা ছাত্ররা হলেন-ধানমন্ডি ম্যাপল লিফের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত।
এ ঘটনায় নিহতদের বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও বেঁচে যান। ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি তদন্ত শেষে র্যা বের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।