ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ
মোকাবিলায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, পরিশ্রম আর দূরদর্শী পরিকল্পনা এবং নতুন নতুন
কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে আজ সারা বিশ্বের কাছে দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনায় অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে
আয়োজিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সাড়াদানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি
কর্মসূচি (সিপিপি)’র স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীনের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ রেড
ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহ্হাব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি’র যাত্রা শুরু
করেছিলেন যাঁরা আগাম সতর্কসংকেত প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে
মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
দিকনির্দেশনায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত হয়েছে। এই
স্বেচ্ছাসেবকদের ৫০ শতাংশ নারী।  তিনি আরো উল্লেখ করেন, পুরো দেশ জুড়ে আধুনিক
আবহাওয়ার রাডার এবং পূর্বাভাস ব্যবস্থা রয়েছে। উপকূলে ৫ হাজারের বেশি বহুমুখী
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ আশ্রয়কেন্দ্র
হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দুর্যোগে প্রাণহানির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭০
সালের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারান। প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে সাম্প্রতিককালে একই মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি
একক সংখ্যায় নেমে এসেছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা হতে মানুষের
জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্বসাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে
পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব
কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান।

পরে প্রতিমন্ত্রী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সাড়াদানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)র ১০৬ জন স্বেচ্ছাসেবকের (৫৩ জন নারী ও ৫৩ জন
পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক) প্রত্যেককে পুরস্কার হিসেবে নগদ দশ হাজার টাকা, একটি মেডেল ও
সনদপত্র বিতরণ করেন।