ঢাকা, ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) :
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অর্থায়নে
দেশে ৫০টি এডুট্রেইনমেন্ট সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেখানে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং
বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান কার্যক্রম এবং মুভি থিয়েটার দেখা
যাবে। দিনে চলবে স্কুল এবং রাতে দেখানো হবে মুভি।
আজ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয়
হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এ তথ্য জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক
কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা ও
আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং
আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক
স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার ঋণ প্রদান করছে। এরমধ্যে ৮টি পার্ক স্থাপনের কাজ এবছর
ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল
সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (বিডিসেট) প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ৬টি
সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, হাই-টেক পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড
ইনকিউবেশন সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে। এসব
সেন্টারে আগামী দুই বছরে দুই হাজার ৪০০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। ইন্টারনেট অভ থিংস,
মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এক্সটেনডেড রিয়ালিটিসহ অন্যান্য
উচ্চতর বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সভায় আরো জানানো হয় ৩০ জনকে ৬ মাসের জন্য
ভারতে আইসিটির ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান স্টার্ট-আপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ ও
ভারতের ৫০টি করে স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ
উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত আইটি এক্সিলারেটর
(বিআইটিএ)। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলায় ‘শেখ কামাল আইটি
ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে। একইসাথে প্রতিটি জেলায় আইটি
এক্সিলারেটর’ও স্থাপন করা হবে।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন এবং মহান
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘Lightning the Fire of Art and Freedom’ শীর্ষক চিত্র
প্রদর্শনী শীঘ্রই কোলকাতা এবং দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে বলেও সভায় জানানো হয়।
ভারতীয় হাইকমিশনার দুই দেশের সম্পর্ক আগামীর দিনগুলোতে আরো সুদৃঢ় হবে উল্লেখ
করে বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ভারত সার্বিক সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে এগিয়ে। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।
পরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং
ভারতের মধ্যে ৪টি কার্যাদেশ স্বাক্ষরিত হয়।