ঢাকা, ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট):
শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের হল রুমে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় – ভারতের ‘আনুকূল্যে’ সরকার টিকে আছে কি না এমন প্রশ্ন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঢাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল-সমাবেশ থেকে মন্ত্রীরা হুমকি দিয়েছেন, সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেছেন। এতই যদি হুমকি-ধামকি দেন তাহলে আবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপনাদের সরকারকে, প্রধানমন্ত্রীকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য দাবি করেন কেন? আমরা এই কথার ব্যাখ্যা চাই।’
‘এই সরকার এবং ভারত সরকারের কাছেও জানতে চাই, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তার অর্থ কী? তাতে কি এটা দাঁড়ায় এই সরকার টিকে আছে ভারতের আনুকূল্যে? একথার অর্থ মানুষ তো জানতেই চাইবে। এটা জরুরি কথা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ কি সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র থাকবে কি না। বাংলাদেশ কি সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক দেশ থাকবে কি না। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সব অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে, সংবিধানকে পরিবর্তন করেছে। মানুষের পাঁচ বছর পরপর একদিন ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করার যে সুযোগ ছিল, তাও হরণ করে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানকে বাতিল করে দিয়েছে।’
ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এত চ্যালেঞ্জ করবেন না। ক্ষমতা ছাড়ুন। ক্ষমতা ছেড়ে রাস্তায় নামুন। দেখা যাবে এদেশে জনগণের শক্তি বেশি না আপনাদের মতো দুর্নীতিবাজদের শক্তি বেশি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করেছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, ভারত যেন তা করে সেজন্য তিনি ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, এ ধরনের বক্তব্য তাদেরকে বিব্রত করেছে।
সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, এই বক্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত।