নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সদর লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি
কার্ডধারী দু’জন মহিলা তাদের চাউল নিজেরা উত্তোলন করার পর ওই এলাকার
কিছু লোকের চাপের মুখে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে চাউল উত্তোলনের
(ভিজিডি কার্ড) অভিযোগ করে ছিলাম।
সুত্রে জানা যায়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০২১-২২ অর্থ বছরে
#৩৯;ভার্নারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট্#৩৯; (ভিজিডি) কার্ডের তালিকায় লোহাগড়া
ইউনিয়নের কামঠানা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ শেখের স্ত্রী আইরিন
বেগম যার কার্ড নম্বর ০০০০৩৯, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ৫০৮৬৮১৪২৬৫ ও
আজাদ শেখের স্ত্রী শিফালী বেগম যার কার্ড নম্বর ০০০০৪২, জাতীয় পরিচয়
পত্র নম্বর ৯১৩৬৭৪২৪৮৪।
গত শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে কামঠানা গ্রামের মফিজ শেখের
আইরিন বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন. ইউপি সদস্য রতন শেখ
আমাকে কার্ড করে দিয়েছে আমি নিয়মিত চাউল তুলে খা”িছ। আমার
চাউল কেউ তুলে নেয়নি। যদি কেহ বলে থাকে তা সত্য নয়।
অপর ভিজিডি কার্ডধারী আজাদ শেখের স্ত্রী শিফালী বেগম বলেন, আমার
কার্ডের চাউল দীর্ঘদিন ধরে আমি তুলে খা”িছ এবং কার্ডটি আমার
কাছে রয়েছে । প্রতিবেশী তবিবর রহমানের স্ত্রী মেরি বেগম ও হানেফ সরদার
বলেন আইরিন ও শেফালী বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডি চাউল
আনতে দেখেছি।
এ ব্যাপারে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রতন শেখের সাথে কথা হলে তিনি
বলেন, আমি ৪ বার নির্বাচিত মেম্বার। আমি কেন অন্যের কার্ডের
(ভিজিডির) চাউল তুলে নেব। এ রকম হলে জনগন আমাকে ভোট দিয়ে ৪ বার
মেম্বার বানাতো না। একটি মহল আমার মান সম্মান হানি করার জন্য
বানোয়াট মিথ্যা অভিয়োগ তুলেছে। আপনারা কার্ডধারীর সংগে কথা
বলুন। তাহলে সত্য পেয়ে যাবেন।
লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমিন বেগম বলেন, বিষয়টি
তিনি শুনেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় নাই তবে তদন্ত করছি সত্যতা
পেলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আইন গত ব্যব¯’া নেওয়া হবে।
লোহাগড়া ইউএনও মো. আজগর আলী বলেন, আমি বিভিন্ন ইউনিয়ন
থেকে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যব¯’া
নেওয়া হবে।