বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে রাত নামলেই ওপারে শুরু হয় মিয়ানমার বাহিনীর তাণ্ডব। সে দেশের বাহিনীর বিচরণ, যুদ্ধবিমানের গোলা ও মর্টার শেলের বিকট শব্দে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় সীমান্তবাসীর। তুমব্রু ও বাইশফাঁড়ি পয়েন্টের বিপরীতে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান গোলা ছোড়ে সে দেশের বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে। স্থানীয়দের দাবি, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় এ গোলাবর্ষণ করেছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী।
তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মো. হোসেন ও আবদুল কাদের এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতিদিন নতুন নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার গভীর রাতে রাখাইন প্রদেশের মংডু জেলার উত্তরে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার বিপরীতে মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান হতে ভারী অস্ত্রের গোলাবর্ষণ করে। এর একটি বিমান তুমব্রু পয়েন্টের জিরো লাইনের ওপর দিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়। আর গোলাবর্ষণ করে, যেন তুমব্রু বাজার, কোনার পাড়া, মধ্যম পাড়া ও উত্তর পাড়ার বসতিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনের দাবি, মিয়ানমার বাহিনী রাতের আঁধারে সামরিক ড্রোনও ব্যবহার করছে। টহলরত বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, শনিবার সকাল ৭টার দিকে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ৪০-৪১ সীমান্ত পিলার এলাকায় টহল দেয় এবং গোলা নিক্ষেপ করে।
তুমব্রু বাজার সর্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি রুপলা ধর জানান, মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা তুমব্রুতে আমাদের বসবাস। ওপারের ক্যাম্প থেকে শনিবার সকাল ১০টায় সে দেশের অভ্যন্তরে একটি মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় মিয়ানমারের ভেতরে হতাহত হয়েছে কিনা কোনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। এ বিষয়ে বিজিবির বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করলেও তারা ফোন ধরেননি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ যুগান্তরকে জানান, রাতে মিয়ানমারের ভেতরে দেশটির সামরিক বাহিনীর গোলা নিক্ষেপে বাংলাদেশের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর তিনি পাননি।