চট্টগ্রামে বিএনপির বুধবারের মহাসমাবেশকে ঘিরে সরকার সহিংসতাকে উস্কে দিতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সরকারের এ ফাঁদে পা না দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি। নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠের এদিন সমাবেশে প্রায় ১৫ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা নেতা–কর্মীদের।
অন্যদিকে, নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজপথ দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে উত্তাপ-উত্তেজনা তুঙ্গে।
এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি আদায় করতে চান দলটির নেতারা। এর আগে ২০১২ সালে চট্টগ্রামের এই মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ঢাকা চলো কর্মসুচির ঘোষণা দিয়েছিলো বিএনপি।
দশ বছর পর বুধবার সেই মাঠেই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত দলের নেতাকর্মীরা। এ কর্মসূচি থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা চান তারা।
মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। এ সময় সমাবেশ বানচাল করতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন দলের শীর্ষ নেতারা।
তবে মহাসমাবেশের নামে চট্টগ্রামের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে তা প্রতিহত করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। তারা বলছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা করার, সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অকারণে কাউকে পুলিশ হয়রানি করবে না। কিন্তু কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেবে।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের নেতা–কর্মীরা এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন।
ইতিমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষে হয়েছে। তৈরি হয়েছে মঞ্চ। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। এ ছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে এ সমাবেশ কাল বেলা দুইটায় পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।