বয়স মাত্র ১৮ পেরিয়েছে অধিকাংশ কিশোরের। তারা ‘কাইচ্চাবাড়ি গ্যাং’ নামে একটি গ্রুপের সদস্য। আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় তাদের আধিপত্য। ‘ভাই ব্রাদার’ নামে আরেকটি কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে নিহত লিখন হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছে র্যাব।
৪ জুলাই এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সেখানে ভাই ব্রাদার কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য মেহেদিকে বাঁচাতে এসে গুরুতর আহত হয় লিখন। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় সে।
র্যাব বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক সেবন, ছিনতাই ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এই গ্রুপগুলো। কিশোর গ্যাংয়ের একাধিক গ্রুপ সক্রিয় আশুলিয়াতে।
গত কয়েক মাসে কিশোর গ্যাংয়ের অর্ধশতাধিক সদস্যকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়ে র্যাব বলছে, মাদকের টাকা জোগাড় করতেই গ্রুপগুলো নানা অপরাধে জড়াচ্ছে।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ি এলাকায় দুই কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব রয়েছে। কাইচ্ছা বাড়ি কিশোর গ্যাং অন্যটি হচ্ছে ভাই ব্রাদার গ্রুপ। এই গ্রুপগুলো এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক সেবন ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত রয়েছে।
আশুলিয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকারী অন্য কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।