২৭.১০.২০২২
বিশেষ প্রতিনিধি:

খানাখন্দ ও মহাসড়কে ছোট-বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আগের দুদিনের মতো দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এই সড়কে।

মাত্র কয়েক মিনিটের পথ পেরোতে যাত্রীদের সময় লেগে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। টঙ্গীর বড়বাড়ি থেকে স্টেশন রোড এলাকায় ঢাকাগামী ও ময়মনসিংহগামী লেনে দীর্ঘ যানবাহনের সারি দেখা গেছে। গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানজট নিরসনে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

পুলিশ, যাত্রী ও বিভিন্ন পরিবহণের চালকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টির কারণে সোমবার থেকে মহাসড়কে যানজট তৈরি হচ্ছিল। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় সড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়, সেই খানাখন্দগুলো বর্তমানে ছোট-বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। বিআরটি কর্তৃপক্ষ খানাখন্দ মেরামত ইট-সুড়কি দিলেও ভারি যানবাহন চলাচল করায় তা টিকছে না। বৃহস্পতিবার গাজীপুরের বড়বাড়ি থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত ঢাকাগামী লেনে প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে।

গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. সুলতান উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, গাজীপুরের যানজট দিন দিন ভয়াবহ চিত্র ধারণ করছে। আমাদের পরিবহণগুলো দৈনিক ঢাকায় ছয়বার যাতায়াত করত, আর যানজটের কারণে এখন এক-দুবার যাতায়াত করাই কঠিন। এতে মালিক, শ্রমিকদের আয়-উপার্জন কমে গেছে, তারা খুব কষ্টের মধ্যে দিন পার করছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঢাকাগামী গাড়িগুলো দুই-তিন লেনে এসে টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় এক লেনে ঢাকায় প্রবেশ করছে। যানজট নিরসনে গত রাতে ওই অংশে ময়মনসিংহমুখী মহাসড়কে এক লেনের মেরামতকাজ হয়েছে। আজ থেকে ঢাকামুখী লেনের মেরামতকাজ শুরু হবে।

এ ছাড়া সড়ক ভবনে সওজের প্রধান প্রকৌশলীর সভাপতিত্বে বুধবার হাইপ্রোফাইলদের সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে শুক্র ও শনিবারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কের এ অংশটি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল উপযোগী স্থায়ী রাস্তা করে দেবে বিআরটি কর্তৃপক্ষ।