২১ ডিসেম্বর, ২০২২:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করায় ১৬টি ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নেপাল।গতকাল মঙ্গলবার দেশটির গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।নেপাল ওষুধের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মনীতি ভঙ্গ করেছে ওষুধ উৎপাদন কোম্পানি গুলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওষুধগুলো আগামী দিনে নেপালে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা সন্তোষ কেসি জানান, ওষুধ উৎপাদনকারীদের কারখানা পরিদর্শন করা হয়। এই সংস্থাগুলি আমাদের দেশে (নেপালে) ওষুধ রফতানির জন্য আবেদন করেছিল। পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এগুলি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্থির করা উৎপাদনের সঠিক নীতি মেনে চলে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই ওষুধ নির্মাতারা ‘গুড ম্যানুফ্যাকচারিং’ পদ্ধতি মেনে চলে না। অর্থাৎ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্থির করা সঠিক নিয়ম মানা হচ্ছে না। এই নিয়মের মাধ্যমে কোনও ওষুধের ঝুঁকি হ্রাস ও কার্যকারিতা সর্বোত্তম করার প্রচেষ্টা করা হয়। উৎপাদনের পর টেস্টিং করা যাবে না, এমন ওষুধের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলা আবশ্যিক।
গত এপ্রিল ও জুলাই মাসেই নেপাল সরকার ভারতে পর্যবেক্ষণ চালানোর জন্য একদল বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছিল।
নেপালের ওষুধ নিয়ন্ত্রক দফতর জানিয়েছে, যে ভারতীয় সংস্থাগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি ইতিমধ্যেই রেজিস্টার্ড। কয়েকটি নতুন। কিছু কোম্পানির প্রোডাক্ট নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলে না। কিছু কোম্পানি আবার ‘গুড ম্যানুফ্যাকচারিং’ নীতি মেনে চলে না। এর মধ্যে কিছু কোম্পানির ওষুধ ক্রিটিক্যাল কেয়ার, ডেন্টাল কার্টিজ এবং ভ্যাকসিনেও ব্যবহৃত হয়।
পাশাপাশি ৪৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থার একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। সেগুলি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঠিক উৎপাদন পদ্ধতি মেনে চলছে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস