নিজস্ব প্রতিবেদক।।

পবিত্র ঈদ- উল আযহা’র পর একটানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের ফলে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ অলিতে গলিতে থৈ থৈ পানি। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের বাসা বাড়িতে বাড়ি উঠেছে। ছোট ছোট সড়ক ও নালাগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণে পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। যার ফলে ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরা মানুষও বিপাকে পড়েছেন। রাজধানীর উত্তরা বিভাগের উত্তরা পূর্ব থানাসহ দক্ষিনখান, উত্তরখান, তুরাগ এবং উত্তরা মডেল টাউনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আজ রোববার এমন চিত্র দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে উত্তরার সড়ক ও মহাসড়ক গুলো। আজ রোববার থেকে ষফিস আদালত, ব্যাংক বীমা খোলা থাকা ছিল। তবে, প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা ও বেশি ছিল। তাই একদিকে ছিল রাস্তায় জলাবদ্ধতা অন্যদিকে ছিল তীব্র যানজট। এই মিলে একাকার। আজ সকালে বৃষ্টির পরিমান ছিল কম। রোববার বিকেল ৪ টার পর আকাশ অন্ধকার করে নামে মুষলধারে বৃষ্টি; যা প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তবে, বিকেল ৪টার পর ১২ থেকে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজধানীতে। মুষলধারে এই বৃষ্টির ফলে উত্তরার পূর্ব থানার আব্দুল্লাহ থেকে শুরু করে বিমানবন্দর সংলগ্ন পেট্রোলপাম্প অধিকাংশ গলিতেই প্রায় হাঁটু সমান পানি জমে রয়েছে। এছাড়া ৪,৬ ও ৮ নং সেক্টর এবং রেললাইন সংল্গ কিছু এলাকায় ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে বৃষ্টির পানি ঢুকে যেতে দেখা গেছে। রেললাইনের পাশে ফায়দাবাদ, কসাইবাড়ি, চালাবন, আজমপুর, মধ্য আজমপুর, মাজার রোড, ১ ও ৯ নং সেক্টর, নলভোগ, কামারপাড়াসহ অলিতে গলিতে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এসব এলাকায় সংযোগ সড়কের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দা মো: জয়নাল আবেদিন ও রফিকুল ইসলাম জানান, সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই উত্তরার অনেক রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ সময় সুবিধাভোগী কিছু রিকশাচালক সেখানে অবস্থান করে এবং পানি পারাপারের জন্য জনপ্রতি ১০/ ২০ থেকে ৩০ টাকা কৌশলে আদায় করে নেয়। উত্তরা আজমপুর থেকে রেলগেই যাবার রাস্তা পুরোই পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া আব্দুল্লাহ থেকে আইচি মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে পানি থৈ থৈ করছে। অনেক সড়কে হাঁটু ও কোমর পানি দেখা গেছে। তবে, রিকশায় চড়ে লোকজনকে পানি পাড়ি দিতে দেখা গেছে।

অটোরিকশার চালক কামাল হোসেন বলেন, অল্প বৃষ্টিতে কিছু সড়কে পানি জমে যায়। এর মধ্যে গাড়িতে যাত্রী নিয়ে আসার সময় রিকসা তলিয়ে যায়। অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখেছি। কোন কোন রাস্তায় হাঁটু সমান পানি জমেছে। রিকশায় যাত্রী টানার সময় অন্য গাড়ি পাশ দিয়ে গেলে যাত্রীসহ আমি পুরোটাই ভিজে যাচ্ছি ঢেউয়ে। আমরা গরিব মানুষ, বৃষ্টিতে কষ্ট করি, তবে, কিছুই বলার
নেই।

উত্তরা আজমপুর রোডে অটোরিকশা চালক মহসীন জানান, এই রোডে অবস্হা একে বাড়ে করুন। পানি আর পানি। যে দিকে তাকাই সে দিকেই থৈ থৈ পানি। ড্রেনেজ ব্যবস্হা না থাকায় পানি সরার কোন ব্যবস্হা নেই।