নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সবগুলো অপারেটরের ইন্টারনেট ফুল স্পিডে থাকবে। সোমবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
কতগুলো ভোটকেন্দ্রকে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের যতগুলো মোবাইল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম আছে, সবগুলোই ফুল স্পিডে চালু থাকবে।’ ভোটের দিন ইন্টারনেট সেøা হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশা করি, না।’
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বলা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা যেহেতু একটা অথরিটি নিয়ে বলছি, সুতরাং তা বলা আছে কি-না এটা মুখ্য বিষয় হতে পারে না।’
৭ জানুয়ারি ভোটের দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি জানান, সে সময় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে চরাঞ্চল থেকে কুয়াশার কারণে ফলাফলের লিখিত তথ্যের কাগজ আসতে দেরি হতে পারে।’
এ জন্য ফল সংগ্রহে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘তবে ভেরিফাইড হোয়াটসঅ্যাপে যেন তথ্য নিয়ে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা যায় সে চিন্তাভাবনা চলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির তৈরি ‘স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে ভোটের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান সচিব।
অ্যাপটির হালনাগাদ করার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের তথ্য এখনই জানা যাচ্ছে, কার ভোটকেন্দ্র কোনটি এবং লোকেশন কোথায়।’
তবে অ্যাপটিতে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল পাওয়া গেলেও পার্বত্য অঞ্চলগুলোর মতো ২০ শতাংশ এলাকা নেটওয়ার্কের বাইরে থাকায় কেন্দ্রীভূত ফলাফল পাওয়া যাবে না বলে জানান তিনি।
ইসি সচিব বলেন, ‘কোনো কারণে ফলাফল পাঠাতে না পারলে ভোটের পারসেন্টেজে গরমিল হয়ে যেতে পারে। তবে সম্ভব হলে আমরা জানাব। আমরা সেখানে বিজিবি, পুলিশের ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করব।’ এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, নির্বাচনী অ্যাপে প্রায় ৩৯০টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল; বাছাইয়ে টিকেছে ২৬টি।
এ অ্যাপ ব্যবহার করে ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম, প্রার্থী, দল ও আসনভিত্তিক তথ্য যেমন পাওয়া যাবে তেমনি আইনবিধি, ভোট পড়ার হার, ফলসহ নানা ধরনের তথ্যও জেনে নিতে পারবেন নাগরিকরা।
এতে একজন ভোটার সহজেই ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন। আগের বছরগুলোর মতো কোথায় কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন তা নিয়ে যেমন জটিলতায় পড়তে হবে না, তেমনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নম্বর খোঁজার বিড়ম্বনার মধ্যেও পড়বেন না।