রাজধানীর বেইলী রোডে ‘কাচ্চি ভাই রেষ্টুরেন্টে’ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আরো ২২ জন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন। তাই নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক বিফ্রিং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন এই তথ্য জানান।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল নুর (এনডিস) জানান, ‘এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৫ জনের লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বজনরা তাদের চেহারা, জামাকাপড় দেখে শনাক্ত করেন।’
বাকি লাশগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শনাক্ত না হওয়া ছয়জনের মধ্যে পাঁচ জনেরই চেহারা বোঝা যাচ্ছে। তবে একটি লাশ পুড়ে একেবারে ছাই হয়ে গেছে। সেই লাশটি ডিএনএ টেস্ট ছাড়া হস্তান্তর করা সম্ভব হবে না।’
এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতারা শোক জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। একইসাথে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।