চকোরিয়া(কক্সবাজার), শনিবার, (১৯ অক্টোবর ২০২৪): ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেমসমাজ আলোর মিনার। তাঁরা সমাজকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আজ বিকালে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলীতে জামিয়াতুল ইসলামিয়া ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার হলরুমে ওলামায়ে কেরামদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, জনসম্পৃক্ততা আলেমদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। আলেমসমাজ সবসময় আল্লাহ ও রাসুলের কথা বলেন। তারা সাহাবায়ে কেরামদের কথা বলেন। একইসাথে তারা দুর্নীতি, মাদক, বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদসহ নানাবিধ সামাজিক ইস্যুতে কথা বলেন। হিংসা-বিদ্বেষ, ঘৃনা, শ্রমের মর্যাদা প্রভৃতি বিষয়ে ইমামেরা কথা বলেন। তাঁরা মানুষের মাঝে মানবিক গুণাবলী জাগ্রত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আমাদের সমাজে ইসলামি কালচার যতটুকু টিকে আছে তা এই ইমামদের মেহনতের কারণেই টিকে আছে।

উপদেষ্টা  বলেন, কওমী মাদ্রাসাগুলোতে সরকারের কোন অনুদান নেই। সম্পূর্ণভাবে সাধারণ জনগণের  সহযোগিতার মাধ্যমেই এই মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হয়ে থাকে। সামান্য বেতন-ভাতা দিয়েই মাদ্রাসার শিক্ষকেরা জীবিকা নির্বাহ করেন। মসজিদের ইমামগণও ঠিক একইভাবে সামান্য সম্মানীতে দিনতিপাত করেন। ওলামায়ে কেরাম আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্যই তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, এই সরকারের মেয়াদ খুব কম। এই সময়ের মধ্যেই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে একটি মিনারেল ওয়াটার প্লান্ট করে যেতে চাই। এই ট্রাস্ট হতে ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরকে কর্জে হাসানা বা সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। এই ঋণের পরিমাণ আমরা বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত ঋণের টাকা মানুষ পরিশোধ করতে চায়না। কিন্তু ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের কোন ঋণখেলাপী নেই। কারণ ইমামসমাজ এটাকে আমানত মনে করে থাকে, তারা আমানতের খেয়ানত করে না। উপদেষ্টা এ মাদ্রাসার উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে
এ সভায় ধর্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার বক্তৃতা করেন। এসময় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(উন্নয়ন) মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম, চকরিয়া সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার এম এম রকীব উর রেজা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে উপদেষ্টা উপজেলার হারবাং গ্রামে সূধী সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।