ব্যাংক লুটকারীদের বিরুদ্ধে ভিয়েতনামের মডেল অনুসরণ করবে কি বাংলাদেশ— বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি।
এতে বলা হয়েছে, চীনা ভিয়েতনামি পরিবারে জন্ম নেওয়া ট্রুং মাই লান হলের ভিয়েতনামের অন্যতম শীর্ষ ধনী। কিন্তু গত অক্টোবরে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয় এবং পরে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ট্রুং মাই লান আপিল করেছিলেন, যা গত তেসরা ডিসেম্বর খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তবে ভিয়েতনামের আইন অনুসারে, আত্মসাৎ করা অর্থের তিন-চতুর্থাংশ ফেরত দিলে সাজা মওকুফের সুযোগ রয়েছে।
আদালত তার রায়ে জানিয়েছিলেন, ট্রুং মাই লানের মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হবে, যদি তিনি নয় বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেন। তবে বিদ্যমান অবস্থায় তিনি তার সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার অর্থ সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে।
ভিয়েতনামের এ ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্যও শিক্ষণীয় বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক খাত সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্য ড. জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “দেশের বড় দুর্নীতিবাজদের অনেকেই পালিয়ে গেছেন। কেউ কেউ ধরাও পড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে এখানে মামলা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দুর্নীতির মামলা না, হত্যা মামলা। তাড়াহুড়ো করে যথাযথ প্রস্তুতি না নিয়ে এ মামলাগুলো করা হয়েছে।”
“এগুলো শেষ পর্যন্ত আদালতে টিকবে কিনা সন্দেহ আছে। যে মামলাগুলো করা হয়েছে সেগুলোর ভিত্তিতে এটি আশা করা কঠিন যে এতে কোনও সুফল বয়ে আনবে। পরবর্তী সময়ে যদি দুর্নীতিভিত্তিক মামলা করা হয়, যেখানে তথ্য-উপাত্ত আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে, তাহলে হয়তো আমরা কিছু আশা করতে পারি। ভিয়েতনাম যা করেছে আমরা যদি এ ধরনের কোনো কিছু করতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পারব না।”