নিজস্ব প্রতিবেদক: বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনের ভয়ে একযুগ পর আসলেন দেশে। গেলেন নিজ নির্বাচনী এলাকা শেরপুরের নকলা- নালিতাবাড়ীতে। হাজারো মানুষ তাকে বরণ করলেন ফুলেল শুভেচছা জানিয়ে। মানুষের ভালোবাসা পেয়ে শেরপুর-২ (নকলা- নালিতাবাড়ী) আসনের এ দুই উপজেলাকে উন্নয়ন করে পাইলট উপজেলা করার ঘোষণা দিলেন দূলাল চৌধুরী।

দীর্ঘ বারো বছর পর শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী আসেন ১২ জানুয়ারী বেলা দুইটার সময়। এসময় এলাকার হাজার হাজার মানুষ তাকে শুভেচ্ছা জানান। আয়োজন করা হয় পৃথক পথসভার। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাপান ফেরত বিএনপি নেতা দুলাল চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ঘোষিত দেশ সংস্কারের জন্য ৩১ দফা বাস্তবায়ন করার কোন বিকল্প নেই। ৩১ দফা সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাবো। আর জনগণের সমস্যা চিহ্নিত করবো। তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে জাপানে থেকেও আমি বিএনপি নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছি। নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সামনে এ নির্বাচনী এলাকাকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো। দূলাল চৌধুরী আরো বলেন, বিএনপির সকল নেতাকর্মী এক পরিবারের সদস্য আমরা। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

দুলাল চৌধুরীর আগমনে নকলা ও নালিতাবাড়ীতে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে পৃথক পথসভার আয়োজন করে।
নকলায় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব কামরুল আলম খান লিটনের সভাপতিত্বে পথ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাপান ফেরত বিএনপি নেতা দুলাল চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নকলা পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, নালিতাবাড়ী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া মাকসিম, যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামান মাসুম, নকলা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান লোটাস, নকলা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল হক ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েলসহ আরো অনেকে।

উল্লেখ্য দুলাল চৌধুরী বিগত সরকারের সময় বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীদের সকল আপদ বিপদের সময় সার্বিক সহযোগিতা করে আসছিলেন। ফলে দুঃসময়ের কান্ডারী দুলাল চৌধুরীর আগমনে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দেয়।