নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক করে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। দলের ঘোষণা দেওয়ার পর নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশে ভারত বা পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির ঠাঁই হবে না।
গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান
২০২৪ সালের অভ্যুত্থান সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াই সূচনা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদেরকে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সকল সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে।”
“সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য।”
কেমন হবে সেকেন্ড রিপাবলিক
সেকেন্ড রিপাবলিক কেমন হবে তার একটি উদ্দেশ্যের রূপরেখাও তুলে ধরেছেন তিনি।
সেক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এমন দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
“শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতা একটি সরকার পতন করে আরেকটি সরকার বসানোর জন্যই ঘটেনি। জনগণ বরং রাষ্ট্রের আষ্টেপৃষ্ঠে জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা থেকে এই অভ্যুত্থানে সাড়া দিয়েছিল, যাতে করে জনগণের অধিকারভিত্তিক একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠিত হয়,” বলছেন তিনি।
সেই উদ্দেশ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন তিনি।
বক্তব্য শেষ করার সময়ও সবাইকে সেকেন্ড রিপাবলিক গঠনের প্রতিজ্ঞা করছেন কিনা সে প্রশ্ন রাখেন মি. ইসলাম।
এরপর “ইনকিলাব ইনকিলাব, ইনকিলাব জিন্দাবাদ”, “ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা”, “দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ” এমন নানা স্লোগান দেন দলের শীর্ষ নেতারা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী, বিকল্পধারার নেতা মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্য জোটের সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের প্রমুখ।